আদালতে ঢোকার মুখে জনতার রোষের শিকার পার্থ, উঠল জ্যান্ত জ্বালানোর দাবি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও চোরের বদনাম। ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আদালতে তোলার সময় উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের (Alipore Court) লক আপে ঢোকানোর সময় পার্থকে উদ্দেশ করে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন একদল যুবক। শুধু তাই নয়, পার্থকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তাঁদের মধ্যে এক জন।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক এসপি সিনহা ও বহিষ্কৃত যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি কুন্তল ঘোষকে আদালতে হাজির করে পুলিস। পার্থকে কোর্ট লকআপের সামনে গাড়ি থেকে বার করে আনতেই আদালত চত্বরে স্লোগান ওঠে ‘চোর চোর’। কেউ আবার বলতে থাকেব ‘এটা সবচেয়ে বড় চোর’।

এই প্রসঙ্গে আদালত চত্বরে হাজির এক যুবক বলেন, ‘চোরকে চোর বলব না? সাধারণ মানুষের টাকা চুরি করেছে এরা। নিজেদের সম্পত্তি বানিয়েছে সেই টাকা দিয়ে।’ আরেক যুবক বলেন, ‘গরিব মানুষ, কৃষকের টাকা থেকে টাকা লুঠ করেছে এরা। এদের জীবন জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত।’ উত্তেজিত ওই যুবকরা জানান, তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। এলাকায় জমায়েত ক্ষুব্ধ জনতাকে এমনও বলতে শোনা গেল, ‘ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত।’ যদিও আদালতে ভিড় করে দাঁড়ানো ওই জনতার মধ্যে কেউ এসএসসি বা টেট দুর্নীতির ভুক্তভোগী কি না, তা জানা যায়নি। জানা যায়নি বিরোধী দলের তরফে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন কি না।

partha chatterjee angry

এদিন কোর্ট লক আপে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাপস মণ্ডল বলেন, ‘ম্যাজিশিয়ান কুন্তল ঘোষ সব বলতে পারবেন।’ বৃহস্পতিবার আদালতে পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। গত দিন শুনানির সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে কিছু বলতে চান বলে জানিয়ে ৫ মিনিট সময় চেয়েছিলেন। পরদিন তিনি সেই সময় পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন বিচারক। এবার দেখার আজ আদালতে কী বলেন পার্থ।

এর আগেও পার্থের বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে ‘চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। এমনকি পার্থকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়া হয়। তবে পার্থ কখনওই কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। যেমন দেননি বৃহস্পতিবার। বরং পুলিসের গাড়ি থেকে চেক চেক পাঞ্জাবি পরা পার্থ সোজা হেঁটে আদালতের ঢোকার মুখে সিঁড়িতে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘আমি দুর্নীতি করতে চাইনি। শুভেন্দু, দিলীপ, সুজন উত্তরবঙ্গে অনেক তদ্বির করেছিলেন। আমি বরং বলেছিলাম, আমি নিয়োগকর্তা নই, কিছু করতে পারব না।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর