বাংলা হান্ট ডেস্ক: করোনা মহামারীর স্তব্ধতাকে কাটিয়ে ফের সচল হচ্ছে সবকিছু। পাশাপাশি, পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থাকেও। গত দু’বছর সুষ্ঠুভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি পড়ুয়ারা। এছাড়াও, করোনার চোখ রাঙানিতে বন্ধ থাকে মাধ্যমিক পরীক্ষাও!
তবে, এবার কোভিডের দাপট কমে যাওয়ায় অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল পর্ষদ। সেই অনুযায়ী, অ্যাডমিট কার্ডও হাতে পেয়ে গেছে পরীক্ষার্থীরা। আগামী ৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে তাই জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে পড়ুয়ারা।
এদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পাশাপাশি, এখনও করোনার রেশ থেকে যাওয়ায় কোভিড বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। পাশাপাশি, পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে। তবে, পরীক্ষার্থীদের একবারে প্রথম দিন ১১ টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে ১১ টা ১৫ মিনিটে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
পর্ষদ কর্তৃক জারি করা বিধিনিষেধে বলা হয়েছে যে, করোনার সংক্রমণ রুখতে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কোনো পরীক্ষার্থীর ব্যবহৃত জিনিস বিশেষত পেন, স্কেল, পেনসিল, ইরেজার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবে না। সুতরাং, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই নিজেদের জিনিস ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও, পরীক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারও।
পাশাপাশি, পরীক্ষায় নকল করা রুখতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা পর্ষদ। কোনো রকমের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বিশেষত মোবাইল ফোন, ট্যাব ক্যালকুলেটর ব্যবহার অন্যান্য বছরের মতই নিষিদ্ধ থাকছে। এদিকে, কোনোরকম ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র সমেত কোনো পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে সেক্ষত্রে ওই পরীক্ষার্থী পাঁচ বছরের জন্য পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হারাতে পারে বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
এখানেই শেষ নয়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, হাতের চুড়ি বা আংটির ফাঁকে পরীক্ষায় নকল করার জন্য টুকরো কাগজ লুকিয়ে রেখেছে পরীক্ষার্থীরা। ঠিক সেই কারণেই এই সমস্ত জিনিস পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনো পরীক্ষার্থী।
এদিকে, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবং পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের পর্ষদ প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও, পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের সম্পত্তির কোনোরূপ ক্ষতি করলে সেক্ষেত্রে তা মেরামতের দায়িত্ব পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকের ওপর থাকবে বলেও জানা গিয়েছে।