রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য বিরাট কড়াকড়ি! নির্দেশিকা জারি করল পর্ষদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে গোনা আর ক’দিন পরেই শুরু হয়ে যাবে মাধ্যমিক (Madhyamik)। পরীক্ষা শুরুর মুখেই এবার নেওয়া হল এক বড় পদক্ষেপ। বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ফাঁস হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। যার ফলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পরীক্ষা চলাকালীন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি এবার শিক্ষা দপ্তরের জন্যও জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ গাইডলাইন।

মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষায় শিক্ষকের জন্য বড় নির্দেশ দিল পর্ষদ

মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা শুরুর আগে নজরদার শিক্ষকদের জন্য এসে গেল এক নতুন আপডেট। জানা যাচ্ছে পরীক্ষা চলাকালীন কোনো নজরদার শিক্ষক তাঁর সাথে মোবাইল কিংবা অন্য কোন বৈদ্যুতিন যন্ত্র রাখতে পারবেন না। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে,নজরদার শিক্ষককে ভেনু সুপারভাইজার বা ভেনু সেক্রেটারির কাছে তাঁর মোবাইল জমা রাখতে হবে। এমনকি পরীক্ষা চলাকালীন কোন শিক্ষকের কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেক কেন্দ্রের ভেনু সুপারভাইজার বা সেন্টার সেক্রেটারি ওই কেন্দ্রের নজরদার শিক্ষকদের নাম রেজিস্টারে লিখে রাখবেন। ওখানেই শিক্ষকদের সঙ্গে মোবাইল নেই বলে লিখতে হবে। কোন শিক্ষক যদি মোবাইল সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাকেন্দ্রে যান তাহলে তা জমা রাখতে হবে ভেনু সুপারভাইজার বা সেন্টার সেক্রেটারির কাছে। এরপরেও যদি কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া যায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অ্যাড হক কমিটি’ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’

রামানুজ জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের (Madhyamik) ডিউটি সময় অর্থাৎ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সঙ্গে কেউ মোবাইল রাখতে পারবেন না। যাঁরা নজরদার শিক্ষক নন,অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কোনও ডিউটি করছেন তারাও মোবাইল রাখতে পারবেন না। প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদে কয়জন স্কুল শিক্ষকরা জানিয়ে গিয়েছেন তাঁদের স্কুলের কয়েকজন ছাত্র নাম বিভ্রাটের জন্য অ্যাডমিট কার্ড পাননি। যে ছাত্রের নামে অ্যাডমিট কার্ড আসার কথা ছিল তার বদলে অ্যাডমিট কার্ড এসেছে এমন একজনের নামে যার এবার পরীক্ষায় দেওয়ার কথা নয়। দুজনের নাম একই হওয়ায় এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এমন পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট দেওয়ার দাবি জানিয়ে গিয়েছেন শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: মিলল না পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা, সমস্যায় পড়বেন কর্মীরা?

ডিএসও-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যারা এখনো অ্যাডমিট কার্ড পায়নি তাদের অ্যাডমিট কার্ড এর ব্যবস্থা করতে হবে পর্ষদকে, তা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে এই বিভ্রাট প্রসঙ্গে রামানুজ যদিও দায় চাপিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপরেই। তাঁর দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।

Madhyamik

পর্ষদের সভাপতির কথায়, ‘নতুন করে অ্যাডমিট কার্ড দিতে হলে আবার অনলাইনে ফর্ম ফিল আপের পোর্টাল খুলতে হবে। যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের নামে খাতা, প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বসার জায়গাও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই মাধ্যমিক (Madhyamik) শুরু হচ্ছে। এখন আবার অনলাইনে ফরম পূরণ করিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ালে পুরো পরীক্ষার প্রক্রিয়াটাই আবার পুনর্গঠন করতে হবে। শেষ মুহূর্তে তা আর সম্ভব নয়।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর