বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেমালের দাপটে এমনিতেই জলমগ্ন কলকাতার শহর এবং শহরতলীর বেশ কিছু জায়গা। তবে ২৬ মে আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন সপ্তাহের শেষ দিনে যখন রেমাল আছড়ে পড়ল সেই দিনটা একে তো ছিল রবিবার সাথে বাইরের ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি আর উপরি পাওনা আইপিএলের ফাইনাল।
সবমিলিয়ে এই রবিবারটা ছিল সুরাপ্রেমীদের জন্য একেবারে আদর্শ। তাই এই রবিবার রেমাল আসার আগে থেকেই মদের দোকান গুলিতে (Liquor Shop) ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল পাড়ার মদের দোকানগুলিতেও। তাছাড়া অনেক রাত পর্যন্ত মদ বিক্রি হওয়ায় লাভও হয়েছিল মোটা টাকা।
কিন্তু কাটোয়ার এক দোকানের মালিকের কপালে সেই সুখ স্থায়ী হল না। তাই লাভের গুড়ের স্বাদ পাওয়ার আগেই একরাতের মধ্যে সর্বস্ব খুইয়ে মাথায় হাত কাটোয়ার মুস্থূলী গ্রামের মদের দোকানের মালিক বুদ্ধদেব ঘোষের। রবিবারের দুর্যোগের রাতেই তার মদের দোকানে ঘটে গিয়েছে এক দুঃসাহসিক ডাকাতির (Robbery) ঘটনা।
যার যার ফলে প্রায় ২ লক্ষ নগদ টাকা সহ দামি ব্রান্ডের মদ খুইয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন ওই দোকানের মালিক। আসলে রবিবার অনেক রাতে বিক্রিবাটা শেষ হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখেই সেদিন সমস্ত টাকা-পয়সা দোকানের আলমারিতে রেখেই নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন ওই দোকান মালিক।
আরও পড়ুন: ডুয়ার্সে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, রাতে অন্ধকারে যুবককে নগ্ন করে পিটিয়ে খুন! থমথমে গোটা এলাকা
কিন্তু এই পরদিন দোকানে আসতেই মাথায় কার্যত বাজ পড়ে তার। দোকানে ঢুকে দেখেন চারদিকে লন্ডভন্ড সব জিনিস। আর আলমারি থেকে গায়েব নগদ এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বেশি টাকা সহ বেশ কিছু দামি ব্রান্ডের মদের বোতল। অভিযোগ এদিন টাকা-পয়সা সমেত দামি ব্র্যান্ডের মদ নিয়ে চম্পট দেওয়ার সাথে সাথে দোকানে থাকা হার্ডডিস্ক এবং সিসিটিভি ক্যামেরাও খারাপ করে দিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
সব হারিয়ে এদিন বিপর্যস্ত মদের দোকানের মালিক বুদ্ধদেব ঘোষ। ওই ডাকতি প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন ‘দুর্যোগের জন্য রাতে দোকানে কেউ ছিল না।গত রবিবারের বিক্রির পর ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা-সহ আরও কিছু টাকা দোকানেই ছিল।দুর্যোগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতীরা তালা ভেঙে সব নিয়ে চম্পট দেয়।’ ইতিমধ্যেই কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও, সিসিটিভি খারাপ করে দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।