বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কয়েক দিনে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের চিকিৎসক-নার্সদের ভূমিকা নিয়ে। আর এবার রোগীর পরিবারের হাতেই আক্রান্ত হাসপাতালের নার্সরা। রোগীকে বাঁচাতে না পারায় হাসপাতালে ঢুকে নার্সদের মারধর করার পাশাপাশি ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ কলকাতার বেহালার (Behala) একটি হাসপাতালে রাতভর তান্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী।
বেহালার (Behala) হাসপাতালে নার্সকে মারধর
ঘটনা সূত্রপাত হয় শুক্রবার সন্ধ্যায়। সে সময় ঠাকুরপুকুর থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত একজন রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় বেহালার (Behala) বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হলেও রোগীকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। রাত ন’টা নাগাদ পরিবারের হাতে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে শুরু হয়ে যায় তুমুল তর্ক-বিতর্ক।
অভিযোগ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ প্রায় কয়েকশো দুষ্কৃতী মিলে ভিজিটিং গেটে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। পরে জরুরী বিভাগেও ঢুকে চালানো হয় তান্ডব। ইমার্জেন্সিতে ঘন্টাখানেক ধরে চলে তান্ডব। মাঝরাতে এমন তান্ডব দেখে ভয় পেয়ে বেড ছেড়ে পালিয়ে যায় অন্যান্য রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে BJP-র মাহজুটির ২০০ পার, ঝাড়খন্ডে আবার হেমন্ত সোরেন
এরপরেই মেল অবজারভেশন ওয়ার্ডে ঢুকে যায় বেশ কিছু মহিলা। দুষ্কৃতীদের তান্ডবে নষ্ট হয় বেশ কিছু ওষুধ-ইনজেকশন। অভিযোগ এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় নার্সিং কর্মীদের। জানা যাচ্ছে তিনজন নার্সিং কর্মী আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা চলছে। এখানেই শেষ নয় উঠেছে আরও এক গুরুতর অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, একজন নার্সকে বাথরুমের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তার জামা-কাপড়।
তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন তারা রোগীকে বাঁচানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালেও আনা হয়েছিল তাই তাদের কাছে খুবই অল্প সময় ছিল। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও রোগীকে বাঁচাতে পারেননি। কিন্তু রোগীর পরিবার নাকি কোন কথাই শুনতে রাজি হয়নি। খবর পেয়ে পর্ণশ্রী থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পৌঁছায় ঘটনার স্থলে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।