বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর শেষ হতে আর বাকি এক মাস। উদযাপনে মেতে রয়েছে আমজনতা। কিন্তু অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) পরিবারে এখন বিষাদের ছায়া। গত ২০ নভেম্বর সব লড়াই ব্যর্থ করে দিয়ে চিরতরে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কাটানো ২২ বছরের অজস্র স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই দিন কাটাচ্ছে তাঁর পরিবার। বাড়ির ছোট মেয়েকে ভুলতে পারেননি কেউই।
ঐন্দ্রিলার বাবা জানিয়েছিলেন, এখনো পর্যন্ত বিষয়টা মানতে পারছেন না তাঁরা। অভিনেত্রী এখনো তাঁদের সবটুকু জুড়ে রয়েছেন। একে অপরকে আঁকড়ে বেঁচে থাকার চেষ্টায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলার বাবা মা দিদি। মেয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যেও তাই এখনো পর্যন্ত কিছু করে উঠতে পারেননি তাঁরা। তবে ঐন্দ্রিলাদের পুরনো বাড়ি বহরমপুরে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল।
সবার প্রতি ঐন্দ্রিলার সদয় এবং পরোপকারী মনোভাবে কথা মনে রেখেরেখে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন কথা হয়েছিল। প্রয়াত অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ অনেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন এই উদ্যোগকে।
ঐন্দ্রিলার মা জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলা সব্যসাচী একসঙ্গে ছুটে যেতেন সবার বিপদে। এমনকি একবার নাকি শীতে একজনের কষ্ট দেখে মায়ের প্রিয় শালটা নিয়ে গিয়ে তার গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাতে মা রাগ করায় বলেছিলেন, ‘কী হয়েছে তাতে? আর একটা কিনে নাও।’
সব্যসাচী ঐন্দ্রিলা অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিলেন। সমস্ত কাজে একসঙ্গে এগিয়ে যেতেন। লকডাউনেও অনেকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। আগামী বছরের শুরুতেই নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু নিয়তির খেলায় ভেস্তে গেল সব।