বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোভিড কালে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি, আর তার জেরে বর্তমানে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। তারা এখন অনেকেই সন্ধান করছেন নতুন কোন ব্যবসার। আপনিও কি খুঁজছেন নতুন কোন ব্যবসার আইডিয়া, তাহলে আজ আপনাকে বলব কি করে আপনিও সরাসরি যুক্ত হতে পারেন ভারতীয় রেলওয়ে সাথে এবং মাসে রোজগার করতে পারেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত টাকা।
বিশেষত করোনা কালের পর লাইন দিয়ে টিকিট কাটার তুলনায় অনলাইনে টিকিট বুকিং করতেই বেশি পছন্দ করেন মানুষ। এতে একদিকে যেমন সাশ্রয় হয় তাদের সময়, তেমনই আবার কোভিডের ভয় থেকেও মেলে মুক্তি। সেই সূত্র ধরেই এই মুহূর্তে যথেষ্ট রমরমা IRCTC এজেন্টদের। দূরপাল্লার ট্রেনে পাড়ি দেবার জন্য এ ধরনের এজেন্টদের শরণাপন্ন হন অনেকেই। আইআরসিটিসির সঙ্গে রেল ট্রাভেল সার্ভিস এজেন্ট হিসেবে যোগ দিতে পারেন আপনিও।
RTSA স্কিমটি চালু করা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে, এতে একদিকে যেমন রেলের আধিকারিকদের উপর থেকে চাপ কমে তেমনই সুবিধা হয় গ্রাহকদেরও। আর সেই কারণেই টিকিট কেটে কমিশনের ভিত্তিতে রোজকার করে থাকেন এই এজেন্টরা। এক্ষেত্রে যখন একজন এজেন্ট লগ ইন করেন, আইআরসিটিসি অ্যাপ্লিকেশনটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রমাণীকরণ করে এবং যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে ই-টিকিট বুক করার অনুমতি দেওয়া হয় এবং টিকিটের সংখ্যার উপর কোন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় না।
এথেকে রোজগারের সমস্তটাই আসে কমিশনের ভিত্তিতে। আইআরসিটিসি এজেন্ট হিসাবে, আপনি নন-এসি ক্লাসের ক্ষেত্রে পিএনআর প্রতি ২০ টাকা এবং এসি ক্লাসে পিএনআর প্রতি ৪০ টাকা কমিশন পান। অনেকেই এভাবে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা অবধি রোজকার করছেন। জানিয়ে রাখি ২০০০ টাকার বেশি লেনদেন হলে সেক্ষেত্রে ১ পার্সেন্ট দেওয়া হয় এজেন্টকে। জানিয়ে রাখি, এর জন্য আপনাকে অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণী পাস করে থাকতে হবে। আবেদন করতে হলে প্রথমে IRCTC এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। সেখানে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করুন। এছাড়া আপনার প্রয়োজন হবে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর, বৈধ ইমেইল আইডি, ছবি, আবাসিক ঠিকানার প্রমাণ, ঘোষণা ফর্ম ইত্যাদি জরুরী নথিপত্র।