বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভালোবাসা (Love) জন্ম দেয় এমন একটি পবিত্র সম্পর্কের যেখানে দু’টি মনের কাছে হেরে যায় সমস্ত বাধা-বিপত্তি এবং সীমানা। এমনকি, দেশ-ভাষা-বর্ণের গন্ডী পেরিয়েও প্রেমের জয়গান সূচিত হয় সর্বত্র। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি “প্রেমের কাহিনি” উপস্থাপিত করব যেটি বিষ্মিত করবে সবাইকেই। সম্প্রতি প্রেমকে পূর্ণতা দিতে সুদূর বেলজিয়াম (Belgium) থেকে ভারতে এসে প্রেমিককে বিয়ে করলেন ক্যামিলি নামের এক যুবতী। আর তাঁদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ঘটনাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ভারতে বেড়াতে এসেই কর্ণাটকের অনন্তরাজুর সাথে দেখা হয় ক্যামিলির। তারপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যা পরে প্রেমে পরিণত হয়। এরপর প্রেমের টানে “সাত সমুদ্র পাড়ি” দিয়ে কর্ণাটকে চলে আসেন ক্যামিলি। শুধু তাই নয়, তারপরে এখানে তিনি তাঁর প্রেমিক অনন্তরাজুকে বিয়েও করেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ৩০ বছর বয়সী অনন্তরাজু অটো চালানোর পাশাপাশি একজন ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন।
প্রথম দেখা হয় কর্ণাটকে: জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ক্যামিলি তাঁর পরিবারের সাথে কর্ণাটকের হাম্পিতে বেড়াতে এসেছিলেন। তখন অনন্তরাজুই তাঁদের গাইড ছিলেন। এদিকে, ক্যামিলিদের কর্ণাটক ঘুরে দেখানোর পাশাপাশি, তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন অনন্তরাজু। এরপর ক্যামিলি বেলজিয়ামে ফিরে যাওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা চলতে থাকে। এমতাবস্থায়, ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং তাঁরা প্রেমের সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। একটা সময়ে ক্যামিলি ভারতে এসে অনন্তরাজুর সাথে ফের দেখাও করতে চাইছিলেন। কিন্তু, করোনা মহামারীর জন্য তা স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে, দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানান এবং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। এমতাবস্থায়, উভয়ের পরিবারের সদস্যরা সম্মতি দিলে, ক্যামিলি বেলজিয়াম থেকে ভারতে আসেন এবং গত ২৫ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার অনন্তরাজুর সাথে তাঁর বিবাহ সম্পন্ন হয়।
কি জানিয়েছেন অনন্তরাজু: এই প্রসঙ্গে অনন্তরাজু জানিয়েছেন যে, “যখন ক্যামিলি হাম্পি থেকে ফিরে যায় তখন সে আমাকে খুব মুগ্ধ করেছিল। পাশাপাশি, সে আবার ভারতে আসার কথাও জানায়। আমরা গত বছরই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এখন করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে করেছি।” পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, “ক্যামিলির প্রায় ৪০ জন আত্মীয় এবং বন্ধু বিয়ের জন্য হাম্পিতে এসেছিলেন। আমরা দু’জনেই বিয়ে করে প্রমাণ করেছি যে ভালোবাসার কোনো সীমানা নেই।”