বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রেনে যাত্রা করার সময় কম বেশি আমরা সবাই স্টেশনের নাম পড়ি। সেই এক একটি ষ্টেশনের নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে এক একটি ইতিহাস। তবে সমাজমাধ্যমে আজকাল বেশ ভাইরাল হয়েছে বেলমুড়ি (Belmuri) স্টেশনের গল্প। অনেকেই হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের স্টেশনটির নাম পর্যন্ত মুখে উচ্চারণ করেন না।
বেলমুড়ি (Belmuri) স্টেশনের অবিশ্বাস্য কাহিনী
তাদের বিশ্বাস বেলমুড়ি (Belmuri) স্টেশনের নাম উচ্চারণ করলে ঘটে যাবে কোনও বিপদ। বেলমুড়ি স্টেশনকে নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন লোককথা। অনেকেই সেই লোককথা বিশ্বাস করে আজও এই স্টেশনের নাম মুখে আনেন না। বেলমুড়ি স্টেশনকে অনেকে ‘মাঝের স্টেশন’ নামে ডেকে থাকেন। এমনকি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে বেলমুড়ি নামের পরিবর্তে অনেকেই মাঝের স্টেশন স্টেশন বলে থাকেন।
বেলমুড়ির (Belmuri) বদলে মাঝের স্টেশন নাম নেওয়ার একটাই কারণ, সেটি হল যে কোনো ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া। অনেকেই বলেন বেলমুড়ি স্টেশনের নাম নিলে সারাদিন অভুক্ত থাকতে হয়। খাবার জোটে না অনেকের। আবার অনেকের বিশ্বাস যে বেলমুড়ি নামটি অত্যন্ত অপয়া। এই স্টেশনের নাম নিলে বিঘ্ন আসতে পারে কাজে।
আরোও পড়ুন : বাড়ি ঢুকে যুবতীকে কুপ্রস্তাব, প্রকাশ্যে দেখাচ্ছেন গোপনাঙ্গ! গুণধর কংগ্রেস নেতার কীর্তিতে তোলপাড় দেশ
সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, এই ব্যাপারটি পরীক্ষা করার জন্য তিনি বেলমুড়ি স্টেশনের নাম একবার নিয়েছিলেন টিকিট কাটার সময়। সেদিনই কাকতালীয়ভাবে তার হাতের মোবাইল ফোনটি জলে পড়ে যায়। আবার অন্য একদিন বেলমুড়ি স্টেশনের নাম নিলে সেদিন রাত্রে তার আসে ধুম জ্বর।
বেলমুড়ি স্টেশন তাই অনেকের কাছেই পরিচিত মাঝের স্টেশন নামে। অনেকের মনে কুসংস্কার রয়েছে যে যাত্রাপথে ‘বেল’ শব্দটি উচ্চারণ করা অশুভ। তাই তারা বেলমুড়ির বদলে এই স্টেশনকে (Rail Station) মাঝের স্টেশন বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। এই অঞ্চলের বেলমুড়ি নাম হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি ইতিহাস।
জানা যায়, অনেক আগে এই গ্রামের চার ধারে ছিল প্রচুর জলাভূমি। আশেপাশের অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলটি কিছুটা উঁচু ছিল। এমনকি জানা যায়, ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বন্যাতেও এই গ্রামের কেন্দ্রবিন্দু অঞ্চলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জলাভূমির মাঝে মাথার মতো এই জায়গাগুলিকে ঝিলমুন্ডি বলা হত। পরে সেই ঝিলমুন্ডির অপভ্রংশ হয়ে যায় বেলমুড়ি।