বাড়িতে বড়রা এরকম হামেশাই বলে থাকেন বেশি আচার খাওয়া ভালো না। অতিরিক্ত আচার খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এবার শুনবেন তাক লাগানোর মতন বিষয়। আচারেও নাকি আছে অনেক গুন ,আচার খেয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব। ফ্লোরে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স’ বলছে যে আমাদের মস্তিষ্কের ওপিনওয়েড সিস্টেম এর কারণে আমাদের শরীরে লবনাক্ত খাবারগ্রহনের চাহিদার অনুভূতি তৈরি হয়।
এই থেকে আচারের প্রতি আসক্তি ও তৈরি হয়।শরীরে জলের ঘাটতি, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা অথবা এডিসন রোগের কারণে মানুষের আচার খাবার প্রবণতা চোখে পড়ে। এবার বলা যাক আচারের উপকারিতার কথা, গবেষণা বলছে আচারের রস রক্তে চিনির মাত্রা, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, মাংসপেশির খিঁচ ইত্যাদি কমাতে খুবই উপকারী। এমনকি পেশির খিঁচ সারাতে আচার জুসের জুড়ি মেলা সত্যি ভার।বেশিরভাগ খেলোয়াড়রাও এই কাজে এটিকে ব্যবহার করছেন এবং তাদের মধ্যেও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
মাসল ক্রাম্প হলে সত্বর ব্যবহার করা যেতে পারে এটি।দেখা গেছে এই সময় সম পরিমান জল খাবার থেকে এই আচারের রস বেশি কাজ দেয়। আবার জলের সাপ্লিমেন্ট হতে পারে এটি। শরীরে নিয়মিত ফ্লুইড এর যোগান দিতে জলের পাশাপাশি ব্যবহার করে দেখতে পারেন আচার জুস। । আচার খ্যে কমতে পারে শরীরের ওজন, হাই ক্যালোরি স্পোর্টস ড্রিংকস এর বদলি হিসাবে রাখুন আচারকে। এতে থাকা ইলেক্ট্রলাইট দ্রুত কাজ করে। এতে ফ্যাট নেই বিন্দুমাত্র এই নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতেই পারে। আবার ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অনেক উপকারি আচার।
ডায়াবেটিস মেলিটাস ও ইনসিপিডাস উভয় ক্ষেত্রেই দারুণভাবে কাজ করে এটি।রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে চমকপ্রদ ফল দিয়েছে। পাচন ক্ষমতা ও খিদে উভয়ই বাড়াতে যথেষ্ট সাহায্য করে।তা ছাড়া দেখা গেছে নানা শাকসবজি ও গোটা ফল দিয়ে তৈরি আচার অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নানা উপকার করে।এতে ফাইবার এর উচ্চমাত্রা হাড়ের গঠন ও পুষ্টিতে উপযোগী। তাহলে বুঝে গেলেন আচার শরীরের পক্ষে কতটা দরকারি। তাই নিজেকে ভালো রাখতে আজ থেকেই খাওয়ার পাতে নিন আচার।