বড় জয় মনোজদের! ঝাড়খণ্ডকে উড়িয়ে আবার রঞ্জির সেমিতে পৌঁছলো বাংলা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আরও একবার জয়, আরও একবার স্বস্তি, চলতি মরশুমের দুর্দান্ত ছন্দ অব্যাহত রেখে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে উড়িয়ে দিলো মনোজ তিওয়ারির বাংলা (Bengal Ranji Team)। ৯ উইকেটে জয় এনে দিলো অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ কুমার ঘরামীর জুটি। এই নিয়ে পরপর টানা তিনবার রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছল বাংলা। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ৩২ বছর আগে।

প্রথম ইনিংসে ঝাড়খণ্ডকে ১৭৩ রানে অলআউট করার পর শাহবাজ (৮১), সুদীপ (৬৮) এবং অভিমুন্যদের (৭৭) ব্যাটে ভর করে ১৫৬ রানের লিড পেয়েছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে আকাশদীপ, মুকেশ কুমারের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রতিবেশী রাজ্য। প্রথম দিন খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলার পারফরম্যান্স দেখে তাকে বেশ কিছুটা তৃপ্ত দেখিয়েছিল।

bengal ranji team

বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৮ রান করার পর ঝাড়খণ্ডের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলার লিডকে টপকে তাদেরকে বড় রানের টার্গেট দেওয়ার। এই চেষ্টায় তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। আর্যমান সেনের ৬৪ রান এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে অনুকূল রায়, বিরাট সিং, সুপ্রিয় চক্রবর্তীদের মরিয়া চেষ্টায় ভর করে ২২১ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল তারা। আর্যমান ছাড়া অন্য কোন টপ অর্ডারের ব্যাটার বাংলার বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি।

প্রথম ইনিংসে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে না পারলেও তৃতীয় ইনিংসে আকাশ ঘটক বাংলার সেরা বোলার হন। ২১ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছিলেন আকাশদিপ ও তারকা অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। বাংলার সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৬৭ রানের।

রান তাড়া করতে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হন কাজী জুনেইদ সইফী। বাংলাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ (২৮*) এবং সুদীপ কুমার ঘরামী (২৬*)। কিন্তু সেমিফাইনালে উঠলেও বাংলার চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। অভিমুন্য ছাড়া আর কোন ওপেনার গোটা মরশুমে বাংলার হয়ে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাননি। এছাড়া বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে বিপক্ষের লোয়ার মিডেল অর্ডার তাই প্রতিবাসী বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রান জুড়ে দিচ্ছেন। সেমিফাইনাল জিততে গেলে এই দোষত্রুটিগুলি কাটিয়ে উঠতে হবে বাংলাকে।

এই ব্যাপারগুলি স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং অধিনায়ক মনোজ। তিনি ম্যাচের পরে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি এগুলোকে দলের খামতি হিসাবে দেখছি না, বরং আরও ভালো করার সুযোগ হিসেবে দেখি। অভিমন্যুর সঙ্গে দ্বিতীয় ওপেনিং ব্যাটারের আরও রান করা দরকার। এই ম্যাচে আমরা কাজীকে সুযোগ দিয়ে দেখলাম। কিন্তু ও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যর্থ হলো। এছাড়াও শেষ কয়েকটি উইকেটে তুলতে গিয়ে বেশি রান খরচ হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলি মাথায় রাখছি।”


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর