বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলার জন্য শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে আসে। তাদের কাছে ২৩ হাজার ৮১১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে দেওয়া হয়। নবান্নের তরফ থেকে খবর দেয়া হয়েছে হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ৩৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৫টি বাড়ি বিপর্যস্ত হয়েছে। ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিড়ে ক্ষতি হয়েছে ৫৯৭ কোটি। রাজ্য এখনও পর্যন্ত দুর্গতদের ৪ লাখ ৩৫ হাজার ত্রিপল দিয়েছে। জলের পাউচ দেওয়া হয়েছে ৬.২ লাখ।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তছনছ করেছে রাজ্যের গাঙ্গেয় সমভূমি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু এলাকা। সোমবার কাকদ্বীপে ত্রাণ-পুনর্বাসনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খতিয়ে দেখেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এদিন বুলবুলের প্রভাবে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থানীয়দের ১০০ দিনের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন নেত্রী। বলেন “বেকার ছেলে মেয়েরা ১০০ দিনের কাজে দিন পিছু ১৯০ টাকা করে পেলে খুশি হবে।”
প্রসঙ্গত, বুলবুল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা গুলির মধ্যে বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অন্যান্য সমস্ত কর্মসূচিকে বাতিল করে দিয়ে কাকদ্বীপে যান তিনি৷ এমনকি আকাশপথে নামখানা বকখালি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। তারপর কাকদ্বীপ একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে তৎপর রাজ্য যে কোনো রকম অসুবিধা সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে বহু বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। পাকা ধান ও পান বরোজের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ২১টি সাবস্টেশন ভেঙে গেছে। বিদ্যুৎ আসতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।” শুধু বিদ্যুৎ নিয়ে নয় এদিন ত্রাণ নিয়েও কাকদ্বীপের বৈঠকে নিজের বক্তব্য পেশ করেন মমতা।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর