বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবিবার ভোট গণনার দিন সকাল থেকেই ফলাফল তৃণমূলের (tmc) পক্ষ ছিল। তবে গোটা বাংলা জুড়ে তৃণমূল জিতে গেলেও, নন্দীগ্রামে (nandigram) সামান্য ভোটের ব্যবধানে হলেও জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তবে এই পরাজয় মেনে নিলেও, নন্দীগ্রামের ভোট আবারও গণনার আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি।
নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েই ভোটে কারছুপির অভিযোগ করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘সব জায়গায়তে একরকম হল, আর এক জায়গায় অন্যরকম! ৮ হাজার থেকে নেমে গিয়ে ০ হয়ে গেল? ওখানে ৪০ মিনিট কারেন্ট ছিল না, তারউপর ৪ ঘণ্টা সার্ভার ডাউন করে রেখেছিল, মেশিনও পাল্টেছে। আবার কাউন্টিং করা হোক’। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এরই মাঝে নন্দীগ্রামে চক্রান্তের অভিযোগ করে রিটানিং অফিসারের (returning officer) একটি মেসেজ প্রকাশ্যে আনেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। সেই মেসেজে লেখা ছিল- ‘দয়াকরে আমাকে বাঁচান। আমার একটা ছোট মেয়ে আছে, পরিবার রয়েছে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রিকাউন্টিংয়ের নির্দেশ দিলে, আমাকে খুন করা হবে’।
West Bengal Govt shall take all appropriate measures to keep a strict watch and monitor the security protection, provided to Returning Officer, 210 Nandigram AC, on regular basis. He should also be extended appropriate medical support/counseling: Election Commission of India
— ANI (@ANI) May 4, 2021
এই মেসেজ প্রকাশ্যে এনে মমতা ব্যানার্জি দাবি করেন, ‘রিটার্নিং অফিসারদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে’। তাঁর এমন দাবির পরই এই বিষয় নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়, রাজ্য সরকার নন্দীগ্রামে রির্টানিং অফিসারের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে এবং তাঁকে চিকিৎসাজনিত সহায়তা ও পরামর্শ দেবে। এই ঘটনার পরই মঙ্গলবার থেকে নন্দীগ্রামে রির্টানিং অফিসারের বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়ালো বাংলার সরকার।