বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লকডাউন বাড়বে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট ভাবনা ছিল রাজ্যবাসীর। কারণ একদিকে লকডাউন যেমন করোনার শৃংখলকে ভাঙতে সাহায্য করছে তেমনি অন্যদিকে লকডাউনের ফলে ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। ১৫ দিনের এই লকডাউনে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও কোভিড নিয়ে আশঙ্কা এখনো থেকেই যাচ্ছে।
আর সেই কারণেই ১৫ জুন পর্যন্ত ফের একবার লকডাউন ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। প্রথম লকডাউনের জেরে সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। লকডাউন এর আগে প্রতিদিন সংক্রমণ ছিল প্রায় কুড়ি হাজার। কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজারে।
রাজ্যে অ্যাকটিভ দেশের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৩ হাজারের কিছু বেশি।আর সেই কারণেই ফের একবার এই করা নিয়ম বিধি পালনের পক্ষে রায় দিল রাজ্য সরকার। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা একে লকডাউন বলছি না। আমরা বলছি বিধিনিষেধ। এর আগে যা যা বিধিনিষেধ ছিল সেগুলিই বজায় থাকবে।
রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কেউ বাইরে বের হবেন না। বাজার, মিষ্টির দোকান, শাড়ি, গয়নার দোকান যে রকম নিয়ম মেনে খুলছিল সে রকমই খুলবে। শুধু জুটমিলে কর্মীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্মাণ কাজে যুক্ত শ্রমিকদের টিকা নেওয়া হয়ে গেলে তাঁরা কাজ করতে পারবেন।’’
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, লকডাউন ছাড়া যে কোনো উপায় নেই দেশের সার্বিক ছবি থেকেই তা স্পষ্ট। বিভিন্ন রাজ্যের লকডাউনের আগে গোটা ভারতবর্ষে আক্রান্ত হচ্ছিলেন প্রায় চার লক্ষ মানুষ। সেই সংখ্যার এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র দু লক্ষ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, রাত ন’টা থেকে সকাল পাঁচটা অব্দি কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না। যেমন নিয়ম ছিল আগে বাকি ক্ষেত্রে তেমনি রাখা হয়েছে। আজ তিনি পরিষ্কার এও বলেন, লকডাউন এর ফলে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে তাই এই বিধি-নিষেধ বজায় রাখা হলো। এখন এই লকডাউন ১৫ জুনের পরেও আরো বাড়ে কিনা সেদিকে