বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের একের পর এক তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীদের গলায় বেজে উঠছে বিক্ষোভের সুর। শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিয়ে রাজনীতি অনেকদিন ধরেই চলছে। তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলেও এখনও বিধায়ক পদ ছাড়েন নি। আশা করা যাচ্ছে যে, আগামীকাল সাংবাদিক সন্মেলনে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। তবে সৌগত রায়কে পাঠানো শুভেন্দু অধিকারীর ম্যাসজের পর অন্তত এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তিনি তৃণমূলে থাকতে আর ইচ্ছুক নন।
আরেকদিকে, গতকাল বিজেপির নেতা মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়েছেন। তিনি গতকাল একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতেই আসবেন আর এই বিষয়ে আমি আশাবাদী। তবে আগামীকাল শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠকের আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ ছাড়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি তা করেন নি।
এছাড়াও তৃণমূলের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া ও শীলভদ্র দত্তের গলাতেও বিক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে। বৈশালী ডালমিয়া নিজের দলের নেতাদের বিঁধে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে, ‘যেখানে পরিবারের প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলা হয়, সেখানে আমি তো নগন্য মাত্র।” আরেকদিকে শীলভদ্র দত্তও যে আর তৃণমূলে থাকবেন না, সেটাও মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এবার শুভেন্দু অধিকারীর পর রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Rajib Banerjee) বিস্ফোরক মন্তব্য করে জল্পনা বাড়িয়েছেন। করুণাময়ী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা যোগ্যতার সাথে কাজ করছেন, তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে AC ঘরে বসে রাজনীতি করা মানুষেরাই আজ সামনের সারিতে উঠে এসেছেন।” তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন ভালো কাজ করতে যায়, তখন তাকে পিছন থেকে টেনে ধরা হয়। অনেকেই এখানে আছেন, যারা শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করছেন।”