‘মাই লর্ড…’, দি ওয়াই চান্দ্রচূড়ের কাছে এ কি আবদার রাকেশ দ্বিবেদীর?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রধান বিচারপতির ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামের পাশে খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হতে চলেছে প্রাক্তন শব্দটি। নিয়ম মেনেই এবার শেষ হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিও চন্দ্রচূড়ার মেয়াদ। আগামী ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) হিসেবে শেষ বার মামলা শুনবেন তিনি। আর ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিজের শেষ দিনের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে তাঁকে।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতিকে কি বললেন রাকেশ দ্বিবেদী?

কিন্তু এতদিন ধরে দেশের শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর কাছেই মামলা শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন আইনজীবীরা। তাই এবার যতই দিন এগিয়ে আসছে ততই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন অন্যান্য আইনজীবীরা। তাই বিদায় লগ্নের আগেই এই অভিজ্ঞ আইনজীবীর অনুপস্থিতির কথা ভেবেই মন ভার হয়ে উঠছে অন্যান্য আইনজীবীদের।

এবার তাঁর উদ্দেশ্যই  এক আবেগঘন বার্তা দিলেন বাংলার বর্ষীয়ান আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। সম্প্রতি আরজিকর মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে সাওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এছাড়াও এছাড়া এসএসসি মামলাতেও রাজ্যের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন রাকেশ দ্বিবেদী। উৎসব শেষ।  সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনই তুঙ্গে কর্মব্যস্ততা।

আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনা! মৃত কমপক্ষে ৩৬ জন, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এরই মাঝে বিভিন্ন মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি নিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে হাজির হয়েছিলেন আইনজীবীরা। সেখানেই এদিন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বাংলার বর্ষীয়ান আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, ‘মাই লর্ডস, নো বডি ওয়ান্টস ইউর টেনিওর টু এন্ড, উই অল ওয়ান্ট ইউ টু হিয়ার’ (আমরা কেউই চাই না আপনার মেয়াদ শেষ হোক। আমরা আমাদের এই বিচারপতিকেই সব মামলা শোনাতে চাই)।

Supreme Court

বিচারপতি চন্দ্রচূড়া অবশ্য কোন মন্তব্য না করেই সামান্য হাসি দিয়েই বিষয়টি হাল্কা ভাবেই নেন। প্রসঙ্গত আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি  এই এজলাসে রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি রয়েছে। আরজিকর ছাড়াও তাঁর এজলাসেশুনানি হতে চলেছে ওবিসি এবং এসএসসি সংক্রান্ত মামলারও।


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর