বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে ট্রেন দুর্ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ( migrant workers) মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসল মমতা সরকার ( mamata government)। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নতুন আটটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর নবান্ন সূত্রে। অন্তত ৩০ হাজার শ্রমিক এই ট্রেনে করে বাংলায় ফিরে আসবেন বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেনগুলি কোথা থেকে কতজন শ্রমিককে নিয়ে কোথায় ফিরবে, তা জানিয়ে রেল মন্ত্রকে একটি তালিকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
আটটি ট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা মূলত উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলের শ্রমিকদের জন্য চেয়েছে নবান্ন। ৯, ১০ এবং ১১ মে – তিনদিন ধরে যাতায়াত করবে ট্রেনগুলি। প্রথম দিন বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদ থেকে দফায় দফায় ৪টি ট্রেন ছাড়া হবে। ১১ তারিখ তিনটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে দুটি ট্রেন ফেরাবে ভেলোরে চিকিৎসা করতে গিয়ে আটকে পড়া এ রাজ্যের বাসিন্দাদের। আরেকটি ট্রেন চণ্ডীগড় থেকে দুর্গাপুরে আসছে।
গতকালই, রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যথেষ্ট তৎপর নয় বলে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যেখানে স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রবাসীদের মজদুরদের নিয়ে যাওয়া ট্রেনকে রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না, এটা তাদের সাথে অন্যায়। এর জন্য তাদের আরও সমস্যা সৃষ্টি হবে।”
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি এদিন বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রা্ন্তে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। প্রবল অর্থ সংকটে ভুগছেন। খাবার পাচ্ছে না। বাড়ি ফেরার সব রাস্তা বন্ধ। রাজ্যের তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা আমাকে ফোন করে কাঁদছেন।”
তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের স্বার্থে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। সেখানেই রেলমন্ত্রীর মারফত তিনি জেনেছেন যে, রাজ্যের তরফে শ্রমিকদের ফেরাতে মাত্র ২ টি ট্রেনের আরজি জানানো হয়েছিল বাংলার তরফে। যা যথেষ্ট হতাশাজনক বলেই উল্লেখ করেন তিনি।