বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক অতীতে কেরালার দলগুলি বারবার বাংলাকে ভারতীয় ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বর দিক দিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলে দিচ্ছিল। সন্তোষ ট্রফি হোক কিংবা আই লিগ বা আইএসএল, সাম্প্রতিক অতীতে বাংলার দলগুলিকে বারবার হারের মুখ দেখতে হচ্ছিল কেরালার দলগুলোর বিরুদ্ধে। তাই আজ ন্যাশনাল গেমসে পুরুষদের ফুটবল ফাইনালে যখন কেরালার মুখোমুখি হলো বাংলা তখন সকলের নজর ছিল সেই ম্যাচের দিকে।
এই ম্যাচে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের সাম্প্রতিক জ্বালার অবসান ঘটালেন নরহরি শ্রেষ্ঠারা। নরহরির হ্যাটট্রিকে ভর করে ফাইনালে কেরালাকে ৫-০ ফলে হারালো বাংলা। বাংলার ফুটবলাররা আরো কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছিল। এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরো বড় লজ্জার মুখোমুখি হতে হতো কেরালাকে। সোনা জিতে বঙ্গ ফুটবলপ্রেমীদের মনে আনন্দের জোয়ার আনলেন রাজা বর্মনরা। প্রসঙ্গত সন্তোষের টাইব্রেকার চলাকালীন এই রাজাই তে-কাঠির নিচে দাঁড়িয়ে নিজের দলকে অসহায় ভাবে হারতে দেখেছিলেন। এবার বাংলার প্রধান গোলকিপার হিসেবে ১১ বছর পর বাংলাকে ন্যাশনাল গেমসে সোনা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
Men’s FOOTBALL ⚽️ West Bengal beat Kerala by 5-0 & clinched the GOLD Medal@Media_SAI | #NationalGames2022 | #36thNationalGames pic.twitter.com/hKh6kfJds9
— DD Sports – National Games 2022 (@ddsportschannel) October 11, 2022
গতবারের সন্তোষ ট্রফি ফাইনালেও এই দুই প্রতিপক্ষ একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে হার মানতে হয়েছিল বাংলাকে। সেই ম্যাচের অনেকেই সন্তোষের স্কোয়াডের এই দলে ছিলেন। কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একবার বাড়তি তাগিদ যেন কাজ করছিল বাংলার ফুটবলারদের মধ্যে।
যদিও ফাইনালের আগে বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছিলেন এই ম্যাচটি তাদের কাছে বদলার ম্যাচ নয়। ম্যাচটিকে তারা দেখছেন নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবে। বাংলা দলে সেই ফুটবলাররাই বেশি রয়েছেন যারা তথাকথিত বড় দলে খেলেন না। এখান থেকে কেরালার মত দলের বিরুদ্ধে ক্লিনসিট রেখে এবং ৫ গোলের ব্যবধানে জেতা একটা বিরাট বড় অর্জন বাংলার ফুটবলের কাছে।
গোটা টুর্নামেন্ট দুর্দান্ত ফুটবল খেলা বাংলা ফাইনালে ১৭ মিনিট নাগাদ রবি হাঁসদার গোলে এগিয়ে যান। ম্যাচের আধঘন্টা নাগাদ নরহরি শ্রেষ্ঠার দূরপাল্লার শট জালে জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাংলার জয় যেন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। প্রথমার্ধের শেষ দিকেই নিজের দ্বিতীয় গোলও করেছিলেন নরহরি। দ্বিতীয়ার্ধে নরহরি নিজের হ্যাটট্রিকটি সম্পূর্ণ করেন এবং তার সাথে সাথে অমিত চক্রবর্তীর গোল কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়েছিল।