বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা বিনোদন জগতের অত্যন্ত পরিচিত মুখ অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee)। এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার নতুন মেগা সিরিয়াল ‘কাজল নদীর জলে’। এই সিরিয়ালের আগে ছোটপর্দায় অনিন্দ্যকে (Anindya Chatterjee) দেখা গিয়েছে স্টার জলসার ‘গাঁটছড়া’ সিরিয়ালে।
বিয়ে নিয়ে কি বলছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee)?
দীর্ঘ সময় ধরে টেলিভিশনের পর্দায় রমরমিয়ে চলার পর টিআরপির অভাবে শেষ হয়েছিল এই মেগা সিরিয়াল। বাংলা সিরিয়াল ছাড়াও অনিন্দ্য (Anindya Chatterjee) এই মুহূর্তে বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলিতেও বেশ জনপ্রিয়। অভিনয়ের ক্ষেত্রে বরাবরই তিনি কোন মাধ্যম বিচার করেন না। যে কোন মাধ্যমেই কাজ করতে পছন্দ করে অনিন্দ্য। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে নিজের সাবলীল অভিনয় গুণেই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা পাকা করেছেন তিনি।
- ‘কাজল নদীর জলে’ সিরিয়ালে অনিন্দ্য
কিছুদিন আগেই জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন সিরিয়াল ‘কাজল নদীর জলে।’ চিরাচরিত সন্ধ্যার স্লটেরপরিবর্তে এই সিরিয়ালটিকে দেওয়া হয়েছে দুপুরের স্লট। কিন্তু দুপুরের স্লট পেয়েও রীতিমতো রমরমিয়ে চলছে এই মেগা। এরই মধ্যে সামনে এলো অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ের ছবি। তবে বাস্তবে নয়, সিরিয়ালের। যদিও আগে অন্য অন্যান্য সিরিয়ালেও গল্পের খাতিরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন : মায়ের থেকেই এই স্বভাব পেয়েছে! সবার সামনে কোয়েলের বড় অভ্যাস ফাঁস করলেন রঞ্জিত মল্লিক
- সিরিয়ালে কত নম্বর বিয়ে অনিন্দ্যর?
কিন্তু জানেন এই সিরিয়ালে অনিন্দ্যর কত নম্বর বিয়ে হচ্ছে? টিভি নাইন বাংলার সাথে সাক্ষাৎকারে উত্তরটা নিজেই দিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘সিরিয়ালে এই মুহূর্তে আমার ২১ নম্বর বিয়ে চলছে। সিরিয়ালে বিয়ে করতে-করতে ক্লান্ত’। আজ সিরিয়ালের ফ্লোর থেকেই ক্লান্ত অবস্থায় মাথায় হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে ছবি দিয়েছেন অনিন্দ্য পাশেই চোখে মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে বসে নববধূর সাজে বসে আছেন নায়িকা অরুণিমাও। ছবি ক্যাপশনে লেখা, ‘ভরদুপুরে বিবাহ বিভ্রাট।’
View this post on Instagram
- বাস্তব জীবনে কবে বিয়ে করছেন অনিন্দ্য?
কিন্তু এ তো গেল অভিনেতার অনস্ক্রিন বিয়ের কথা। বাস্তব জীবনে কবে বিয়ে করছেন তিনি? জানতে চাওয়া হলেই বন্ধু-বান্ধবদের প্রসঙ্গ টেনে এনে অনিন্দ্য এদিন বলেছেন, ‘যদি বাস্তব জীবনের কথা বলি, তাহলে আমার খুব কাছের বন্ধুরা বলেন, বিয়ে না করতে। আর যাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাঁরাও বলেন, বিয়ে না করতে। আমার তো বাবা-মা নেই। বন্ধু-বান্ধব পরিবারের মতো। ওঁদের কথা শুনে চলতে ভালবাসি। যেদিন আমার কাছের বন্ধু-বান্ধবরা (যাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বা যাঁদের বিয়ে হয়নি) বিয়ে করতে বলবেন, সেদিন আমি বিয়ে করব।’