বাংলাহান্ট ডেস্ক : কে বলেছে বাঙালি কিছু পারো না! আর বাঙালির না পারার কথাটা যে ভুল তা আরো একবার প্রমাণ করে দিল বাঙালি সন্তান কৌশিক চ্যাটার্জি (Koushik Chatterjee)। তিনি ভারতের একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি হওয়ার পাশাপাশি তাকে অন্যতম ধনী ব্যক্তিও বলা চলে। তাঁর আরও একটি পরিচয় আছে তা হল , তিনি টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
আর টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আছে মানেই তাঁর বেতন শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবেই। তবে, কৌশিক চ্যাটার্জি টাটা স্টিলের কোন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বা সিইও না হলেও তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুনলে অবাক হবেন, তিনি রতন টাটার (Ratan Tata) নেতৃত্বাধীন গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ সংস্থার আর্থিক দায়িত্বে রয়েছেন, যার বাজার মূলধন ১,৪৩,১৭৫ কোটি টাকা।
কৌশিক টাটা গ্রুপের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসারদের মধ্যে একজন। টাটা স্টিলের বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, টাটা স্টিলের সিএফওর বার্ষিক বেতন গত বছরের তুলনায় এই বছর সামান্য হ্রাস পেয়েছে। তারপরও তিনি পেয়েছেন ১৪ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৌশিকির দৈনিক আয় ৩.৮৯ লক্ষ টাকারও বেশি বলে জানা যায়।
বাংলার ছেলের এই রোজগার কিন্তু বহু বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের কাছেই স্বপ্নের মত। টাটা গ্রুপে কাজ করার আগে কৌশিক ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ এবং অডিট ফার্ম এসবি বিলিমোরিয়ার মতো সংস্থায় কাজ করেছিলেন। তবে কৌশিক এত টাকা বেতন পেলেও তাকে ছাড়িয়ে গেছে টাটা স্টিলের সিইও টি ভি নরেন্দ্রনের বেতন ১৮.৬৬ কোটি টাকা যা ২০২০-২৩ অর্থবছরে কৌশিক চ্যাটার্জির চেয়েও বেশি।
জানা গেছে, এত টাকা বেতন পাওয়া সত্ত্বেও কৌশিক চ্যাটার্জী একজন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। তিনি সরল জীবনযাপন করতেই পছন্দ করেন। এক কথায় যাকে বলা যায় ডাউন টু আর্থ মানুষ । কৌশিক চ্যাটার্জি পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সেন্ট প্যাট্রিক স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (CA) হওয়ার আগে তিনি কলকাতা থেকে B.Com পাশ করেছিলেন।
এককথায়, ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন তিনি। তবে টাটা গ্রুপে কাজ করার একটি ইতিহাস আছে কৌশিকের। তিনি সরাসরি টাটা গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হননি। তাকে টাটা সন্স-এর প্রাক্তন সিএফও ইশাত হুসেন টাটা স্টিলে নিয়ে আসেন। ৩৬ বছর বয়সে কৌশিক ২০০৬ সালে টাটা স্টিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। তিনি ২০১২ সাল থেকে সিএফও পদ মর্যাদায় আছেন ।