বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে নোবেল জয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath tagore)। এবার একমিনিটে ছোলার ডালের ওপর বিশ্বকবির ছবি এঁকেই বিশ্বজয় করলেন বাংলার (west bengal) মেয়ে শুভ্রা মন্ডল। উল্লেখ্য, এই কাজে সে কোনো মাইক্রোস্কোপ ব্যাবহার করেনি পুরো শিল্পকর্মটাই সে করেছে খালি চোখে।
শুভ্রা মন্ডল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারিজ বেরুবারি ১ নং গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার গ্রাম ঘুঘুডাঙা গ্রামের বাসিন্দা। জলপাইগুড়িই এক কলেজের ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছোট থেকে ছবি আঁকার শখ থাকলেও অভাবের তাড়নায় অকালেই ছবি আঁকার প্রথাগত শিক্ষা থেকে বিরত থাকতে হয় শুভ্রাকে।
পেশায় ছোট ব্যাবসায়ী শুভ্রার বাবা অভাব সত্ত্বেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আঁকা শিখিয়েছেন শুভ্রাকে। কিন্তু তারপরেই সে শিক্ষায় ছেদ পড়ে। কিন্তু শুভ্রার ছবি আঁকার নেশা থেমে থাকে নি। রং-তুলি থেকে বলপেন যখন যেমন তখন তেমন ছবি এঁকেছেন শুভ্রা। রঙের অভাবে গাছের পাতা কেটেও মনিষীদের একাধিক পোট্রের্ট করেছে সে। বাদাম ডালের মত ঘরোয়া জিনিসের ওপরেও এঁকেছে ছবি।
শুভ্রার কথায়, লকডাউনে যখন সকলেই সামাজিক মাধ্যমে নিজের প্রতিভা তুলে ধরতে ব্যাস্ত তখন রেকর্ড করার কথা মাথায় আসে তার। সেই থেকেই সে প্রথমে বাদামের ওপর ছবি আঁকার চেষ্টা করে। কিন্তু সে যাত্রা সাফল্য ছিল অধরাই৷ তার পরদিন সে ফের একবার ছোলার ডালের ওপর ছবি আকাঁর চেষ্টা করে এবং সফল হয়।
ছোলার ডালের ওপর এই ছবি আঁকার সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে এক মিনিট সময়ের মধ্যে ৭ মিমি ব্যাসের একটি ছোলার ডালে তার আঁকা রবীন্দ্রনাথের ভিডিও সে পাঠিয়ে দেয় বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। এরপর বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ লাইভ ভিডিও কলের মাধ্যমে তার সেই দক্ষতা যাচাই করে নেয় এবং সেখানেও সফল হয় শুভ্রা। তারপরই তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় এই আন্তর্জাতিক শংসাপত্র। শুভ্রার ইচ্ছে ভবিষ্যতে আরো ছোট মাইক্রো আর্ট করে গিনেস বুকে নাম তোলার।