বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিরোধী দলনেতাদের ছেড়ে এবার বাংলার বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ এনেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে বিশ্বভারতীর সীমানার মধ্যে ঢুকে গিয়েছে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি প্রতীচী। সেই নিয়েই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন সমাজের একাধিক বুদ্ধিজীবী,কবি-সাহিত্যিকরা।
অমর্ত্য সেনের পাশে বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী, সুবোধ সরকার, জয় গোস্বামী, কবীর সুমন, ব্রাত্য বসু সহ একাধিক বুদ্ধিজীবীরা এদিন অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। রবিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির সামনে প্রতিবাদী বিক্ষোভ দেখান সমাজের বুদ্ধিজীবীরা। এবার তাদের কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ
এদিন বুদ্ধিজীবীদের এই প্রতিবাদ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অমর্ত্য সেনকে নিয়ে নয়, TMC বাঁচাও অভিযান চলছে এখন। যখনই TMC ঝামেলায় পড়ে, তখন শিল্পীরা এসে আকড়ে ধরে। আমার মনে হয়, আজকে যে জাহাজটা ডুবে যাচ্ছে, শিল্পীরা, বুদ্ধিজীবীরা যেন ওদিকে না যান। তাহলে তাদেরকেও সেইসঙ্গে ডুবতে হবে। কারণ একবার সিপিএমের সঙ্গে ডুবেছিলেন, তারপর কোনমতে দিদির আঁচল ধরে ডাঙ্গায় এসে উঠেছেন। ওই ভুল আবার দ্বিতীয়বার না করাই ভালো’।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘TMC ডুবন্ত জাহাজ। মানুষ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের বাঁচাবার দায়িত্ব আপনাদের কে দিয়েছে? আপনারা মানুষের সঙ্গে থাকুন, সমাজের সঙ্গে থাকুন, মানুষের সংকটে থাকুন। যখন এখানে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়, মানুষ ভোট দিতে পারে না, দেশের সবথেকে বড় পার্টির সভাপতির উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ হয়, কই তখন তো আপনাদের আওয়াজ শুনি না আমরা। কারো আঁচলের তলায় দাঁড়িয়ে কথা বলা, এটা বাংলার বুদ্ধিজীবীরা কখনও করেন না এবং তাদের শোভাও দেয় না। সেই জন্যই কিন্তু আমরা সম্মান পেয়েছি। বুদ্ধিজীবী মানে তাবেদার, বাংলার মানুষ এটা ভাবতে রাজী নয়’।