আমেরিকার বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে ভারতে জৈবিক পদ্ধতিতে চাষবাস করছেন বাঙালি স্বামী স্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কর্মসূত্রে বহু মানুষ ভিন দেশে পাড়ি দেয়। সেইরকমই আমেরিকায় (America) বসবাস করা এক ভারতীয় (India) দম্পতি সেখানকার ভোগবিলাসের জীবনকে বাদ দিয়ে, দেশে ফিরে চাষের কাজে নিজেদের নিয়োগ করেছেন। রাসায়নিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তাঁরা চাষাবাদ শুরু করেন অপরাজিতা সেনগুপ্ত (Aparajita Sengupta) এবং তাঁর স্বামী দেবল মজুমদার (Debal Majumdar)।

IMG 20200221 151740

 

ইংরেজিতে PHD করা বছর ২৫ শের অপরাজিতা আমেরিকায় সহঅধ্যাপক এবং তাঁর ৩১ বছর বয়সী স্বামী দেবল এক সফটওয়ার কোম্পানিতে কাজ করতেন। কিন্তু আমেরিকার বিলাশ-বহুল জীবন যাপনে তাঁরা একদমই খুশি ছিলেন না। রাসায়নিক পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগে উৎপন্ন খারাব তাঁদের একেবারে অপচ্ছন্দ ছিল। সেইজন্য তাঁরা দেশের ফেরার সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশে ফিরে আসেন। ২০১১ সালে তাঁরা ভারতে ফিরে কলকাতার (Kolkata) ঠাকুরপুকুর অঞ্চলে দুই একর জমি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করে। কৃষিবিষয়ক শিক্ষা গ্রহণ করার পর তাঁরা প্রাকৃতিক উপায়ে চাষাবাদ শুরু করে।

অপরাজিতা এবং তাঁর স্বামী দেবল জানান সপ্তাহ শেষে বাজার করার বদলে তাঁরা ফসলের দেখভাল করেন। এই ধরণের চাষের কাজে কৃষকেরাও অনেক লাভবান হতে পারেন। তবে যদি কোন ব্যক্তি এই বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে চান, তাহলে তাঁদের থেকে এই বিষয়ে কোর্স করতে পারবেন।

শান্তিনিকেতনে থাকা অপরাজিতা বলেন, চাষের বিষয়ে তাঁদের এখনও অনেক কিছু শিখতে হবে। আমেরিকায় থাকাকালীন সময়ে তাঁরা ভাবতেন কিভাবে খাবারকে বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত করা যায়। এবং ভারতের মাটিতে কি উপায়ে ভালো ফসল উৎপন্ন করা যায়। তাঁদের বক্তব্য, বাচ্চাকে শুধু ভালো খেলনা বা জামাকাপড় দিলেই সে সুস্থ থাকবে না,তাঁকে বিষমুক্ত খাবার দিতে হবে। যাতে করে সে সুস্থ ও সবল থাকতে পারে। তাঁরা তাঁদের গ্রামের বহু মানুষকে এই কাজে নিয়োগ করেছে। বাচ্চাদের পড়াশুনোও শেখাচ্ছেন তাঁরা। এখনও অবধি তাঁরা আলু, চার ধরণের চাল, বিভিন্ন রকমের ডাল, বেগুন, পেঁয়াজ, কলা, আঙ্গুর ইত্যাদি ফসলের উৎপাদন করেছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর