বাংলা হান্ট ডেস্ক: শত্রু দেশের রাডারে ধরা পড়বে না ভারতীয় সেনার (Indian Army) হেলিকপ্টার বা সাবমেরিন। সম্প্রতি এমনই এক অভিনব যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বাঙালি বিজ্ঞানী প্রফেসর বৈশাখ ভট্টাচার্য । আর এই নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের পিছনে তাঁর অনুপ্রেরণা ভগবান শিব তাঁর ডমরু।
প্রফেসর ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁর আবিষ্কৃত নতুন যন্ত্রের ফলে শত্রু দেশের রাডারের শব্দতরঙ্গ আর ফেরত যাবে না। যদি শব্দতরঙ্গ ফেরতই না যায় তাহলে ভারতীয় হেলিকপ্টার বা সাবমেরিন খুব সেই রাডারে ধরাও পড়বে না। শিবের ডমরুর আকারের এই যন্ত্রের প্রোটোটাইপ বিল্ডিং ব্লকের সাহায্যে শব্দতরঙ্গের বিচ্ছুরণ নিয়ন্ত্রিত করে। তিনি আরও জানান, ভগবান শিব ব্রহ্মাণ্ডকে সচল রাখার জন্য ডমরু বাজিয়েছিলেন। সেই ডমরু থেকে প্রেরণা নিয়েই তিনি তাঁর অভিনব যন্ত্রটি বানিয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত তিনি তিনটি ডমরুর আকারের প্রোটোটাইপ বানিয়েছেন। প্রত্যেকটিতে মৌমাছির চাকের আকারে আলাদা বিল্ডিং ব্লক রয়েছে। এগুলিই কোনও রাডারের শব্দতরঙ্গ শোষণ করে নিতে সক্ষম। ফলে ওই শব্দতরঙ্গ আর রাডারে ফিরবে না। এই ডমরু আকারের যন্ত্র কোনও হেলিকপ্টার বা সাবমেরিনে লাগালে সেটি আর শত্রুর রাডারে ধরা পড়বে না।
প্রফেসর ভট্টাচার্য আরও জানান, এই ডমরু ব্যবহার করে হাইস্পিড ট্রেনের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যখন কোনও হাইস্পিড ট্রেন প্ল্যাটফর্ম বা বসত এলাকার মধ্যে দিয়ে যায়, তখন ট্রেনের প্রচণ্ড আওয়াজে মানুষের অসুবিধা হয়। এই যন্ত্র ব্যবহার করে ট্রেনের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া কোনও মানুষের দেশে স্টোন বা টিউমার আছে কিনা তা জানার জন্য আলট্রাসনিক তরঙ্গের ব্যবহার করা হয়, যা মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। এই যন্ত্র ব্যবহার করে সেই আলট্রাসনিক তরঙ্গকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।