পুরোপুরি বাঙালি অধ্যুষিত হয়েও কলকাতা শহরের ব্যাংক থেকে শপিং মল অনেক জায়গাতেই ব্যাবহার করা হয় না বাংলা ভাষা। এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বেশ কিছু বাঙালির মধ্যে। তাছাড়াও ভারতে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি না পাওয়াতেও অনেকেই ক্ষিপ্ত। তবে এরই মধ্যে বড় জয় বাংলা ভাষা। সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় চালু হল বাংলা ভাষায় সরকারি ওয়েবসাইট।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশে স্থায়ীভাবে বাস করেন প্রায় ৫৫ হাজার ভারতীয় বাঙালি। এছাড়াও আছেন বাংলাদেশের বাঙালিরাও। সব মিলিয়ে এই প্রদেশের একটা বিরাট অংশ বাঙালি। অনেক বয়স্ক বাঙালিই পড়েন ভাষা সমস্যায়। আর সেই সমস্যা সমাধানের জন্যই ঝাঁপিয়ে পড়েন কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অর্ণব ঘোষ। নিজের দাবি আদায় করে অর্ণব বলছেন, “এবার লড়াই ভিক্টোরিয়াতে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে বাংলার অন্তর্ভুক্তিকরণ।”
কি কি রয়েছে এই ওয়েবসাইটে? কিভাবে নিরাপদ ও সুস্থ থাকা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে কী কী সরকারি সাহায্য পাওয়া যেতে পারে, পরীক্ষা ও নিভৃতবাস, নিরাপদে থাকাসহ যাবতীয় বিস্তারিত তথ্য মিলছে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া স্টেটের স্বাস্থ্য দফতরের বাংলা ওয়েবসাইটে।
বাংলা ভাষার উৎপত্তি আনুমানিক ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে চর্যাপদের হাত ধরে। তারপর কেটে গিয়েছে হাজার বছরের বেশি৷ ভারতের প্রথম নোবেল জয় করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই মুহুর্তে বিশ্বের প্রতিটি কোনে রয়েছেন বাঙালি৷ বাংলাদেশ ছাড়াও সুদূর আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। এবার এই স্বীকৃতি বাংলা ভাষার মুকুটে আরো একটি পালক যোগ করল। নিঃসন্দেহে বাঙালির জন্য এ এক গর্বের দিন