বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষিতা মহিলা ‘গীতা” (নাম পরিবর্তিত) কে নিয়ে আওয়াজ তুলেছে। ‘জন কী বাত” নামের সেই সংবাদমাধ্যম গীতার পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য লড়াই লড়ছে। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের জন্যও আওয়াজ তুলেছিল এই সংবাদ মাধ্যম। .
https://twitter.com/jankibaat1/status/1417440288373571592
লাইভ অনুষ্ঠানে তৃণমূলের নেত্রী সুজাতা মণ্ডল বলেন, ‘এমন মনে হচ্ছে যে, শুধু বাংলাতেই এমন ঘটনা ঘতছে। আমি একজন মহিলা, আর আম মহিলাদের দুঃখ বুঝি। কিন্তু আপনারা উত্তর প্রদেশে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতন নিয়ে কিছু বলছেন না।” সুজাতা মণ্ডল আরও বলেন, ‘মহিলার ধর্ষণ হয়েছে, এটা একটি ঘৃণ্য অপরাধ। কিন্তু ধর্ষক যে তৃণমূলের কর্মী ছিল, এটা আপনারা কী করে বুঝলেন?”
There is a situation of mayhem in West Bengal and media houses are ignoring the plight and cries of the people
At Such difficult times @pradip103 bhai is working tirelessly to expose real agenda & truth behind post poll Bengal Violence #BengalRapeHorror pic.twitter.com/KejdSVmJWJ— Ramesh Solanki 🇮🇳 (@Rajput_Ramesh) July 20, 2021
জন কী বাত অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রদীপ ভাণ্ডারী অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ নির্যাতিতাকে ভয় দেখাচ্ছে। বাংলায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসা কী পরিকল্পনা মাফিক ছিল? ধর্ষণে অভিযুক্তদের কারা বাচাচ্ছে?”
উল্লেখ্য, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক জলঘোলা হয়েছে। মহিলা কমিশন, তফিসিলি কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন বাংলায় এসে হিংসার তদন্ত করে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। প্রতিটি রিপোর্টেই বাংলার হিংসা নিয়ে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অজস্র মহিলাদের উপর অত্যাচার, তফসিলিদের উপর অত্যাচারের কাহিনী উঠে এসেছে বাংলা থেকে। যদিও, শাসক দল তৃণমূলের দাবি বিজেপি লোক লাগিয়ে ইচ্ছে করে ঘটনাগুলিকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছে।
কদিন আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাঁদের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল। সেই রিপোর্টে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও বিধায়ককে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী” বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের দায়ভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছে।
আরেকদিকে, জন কী বাতের সঞ্চালক সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলায় ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য #BengalRapeHorror লিখে টুইটারে ট্রেন্ড করাচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁর এই অভিযানে অনেকে সাড়াও দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূলের ডাকা শহীদ দিবসের দিনে এমন একটি অভিযান কী শাসক দলকে চাপে ফেলার জন্য? না অন্যকিছু?
Your movement for the victims of post poll violence in Bengal has become the number 1 trend on Twitter. With over 80,000 tweets on #BengalRapeHorror debate, campaign led by Pradeep Bhandari on JANTA KA MUKADMA is only getting bigger.#BengalRapeHorror@pradip103 #JantaKaMukadma pic.twitter.com/ZeNxTettpK
— Jan Ki Baat (@jankibaat1) July 20, 2021