বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে নেমেছে বাংলা। বেঙ্গালুরুতে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে রানের পাহাড়ে চড়েছেন অনুস্টুপ মজুমদাররা। তৃতীয় দিনে লাঞ্চের আগে বাংলার স্কোর ছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৪০। অপরাজিত অবস্থায় ব্যাট করছিলেন সায়ন শেখর মন্ডল এবং আকাশদীপ। কিছুদিন আগে রঞ্জি ট্রফির গ্রূপ পর্যায়ে ইডেন গার্ডেন্সে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮৮০ রান করেছিল ঝাড়খন্ড যা এই মরশুমে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ স্কোর। সেই রেকর্ডটি ভাঙতে পারবে কিনা বাংলার ব্যাটাররা, তা দেখতে মুখিয়ে ছিলেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেই সঙ্গে ১৯৪৫/৪৬ রঞ্জি ট্রফি মরশুমে করা মধ্যপ্রদেশের এক ইনিংসে করা ৯১২ রানের সর্বকালের সেরা রঞ্জি ট্রফির ইনিংসটি নিয়েও এবার ভাবতে শুরু করেছিলেন সকলে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ৭৭৩ রানে বাংলার ইনিংস ডিক্লেয়ার করলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ।
এর ফলে এক অনন্য রেকর্ড গড়ে ফেলেছে বাংলা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য কোনও দলের ১ থেকে ৯ নম্বরে নামা সকল ব্যাটার অর্ধশতরানের গন্ডি পেরিয়েছেন। দুই ওপেনার অভিষেক রমন এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণ যথাক্রমে ৬১ এবং ৬৫ রান করেছেন। তিন এবং চার নম্বরে নামা সুদীপ কুমার ঘরামী এবং অনুস্টুপ মজুমদার শতরানের গন্ডি পেরিয়েছিলেন। তারা দুজনে যথাক্রমে ১৮৬ ও ১১৭ রান করে আউট হন। অল্পের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া করেন সুদীপ।
অভিজ্ঞ তারকা মনোজ তিওয়ারি করেন ৭৩ রান। যদিও অত্যন্ত শ্লথ ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান স্কোরারদের তালিকায় ১১তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এই মুহূর্তে মনোজের মোট রঞ্জি ট্রফি রান সংখ্যা ৭৬৩০। তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোরেল এবং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তার দুজনে যথাক্রমে ৬৮ ও ৭৮ রান করে আউট হয়েছেন।
লাঞ্চের আগে ক্রিজে ছিলেন সায়ন শেখর মন্ডল এবং আকাশদীপ। সায়ন শেখর অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ৪৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আশা করা হচ্ছিলো তিনি অর্ধশতরান করবেন। অপর ব্যাটার আকাশদীপ ৮ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন এবং শেষপর্যন্ত দুজনেই অর্ধশতরান করেছেন। তার মধ্যে আকাশদীপের ৫৩ রানের ইনিংসটি বিশেষ। কারণ তিনি ১৮ বলে অর্ধশতরান করেছেন এবং তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ টি ছক্কা দিয়ে। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান। দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৮।