বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঘটে যাওয়া বিষ্ফোরণ (Bengaluru Cafe Blast) কাণ্ডের জল গড়িয়েছে অনেকদূর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সাথে বাংলার যোগ খুঁজে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা NIA। দীঘার কাছে কাঁথি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন দুই সন্দেহভাজন। সূত্রের খবর, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কাঁথিতেই আত্মগোপন করেছিল এই দুই ব্যক্তি। মূলত এই দুজনের অঙ্গুলিলেহনেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
গত মার্চ মাসের শুরুতেই ভয়াবহ বিষ্ফোরণে কেঁপে ওঠে রামেশ্বরমের কাফে। ক্যাফের বিখ্যাত হোয়াইটফিল্ড ইটারিতে ঘটে যায় এই বিষ্ফোরণ। তবে বিষ্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না হয় আঘাত খুব একটা জোরালো হয়নি। তাতেও আহত হয়েছিলেন ১০ জন। ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি।
কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই ঘটনার অন্যতম মূল চক্রীর নাম মুজাম্মিল। হামলার প্রায় ২৭ দিন পর তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই উঠে আসে আরও দুই নাম, শাজিব এবং আবদুল। গোটা ঘটনায় এই তিনজনের মাথা সমানভাবে কাজ করেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। আবদুল গোটা পরিকল্পনা সাজিয়েছে এবং নাজিব বিষ্ফোরকের জোগান দিয়েছিল বলে জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
আরও পড়ুন : মুম্বই ছাড়বেন বুমরাহ? IPL-র মাঝেই এই দল থেকে এল দারুণ প্রস্তাব
এই দুজনকে খুঁজতে গিয়ে কর্নাটকের ১২টি এলাকা, তামিলনাড়ুর পাঁচটি এবং উত্তরপ্রদেশের এক জায়গাতেও তল্লাশি চালায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। দুজনকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার মিলবে বলেও জানায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এরপরেই সামনে আসে বঙ্গযোগ। এনআইএ জানতে পারে, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি নাম ভাড়িয়ে লুকিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুন : ‘বিরাট ম্যাজিক’! হার্দিকের সম্মান রক্ষায় মাঠে যা করলেন কোহলি, চোখে জল ভক্তদেরও
এরপরই এনআইএ, কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি এবং পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক ও কেরালা রাজ্য পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার ভোর রাতে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। এইদিন শাজিব এবং আবদুলের গ্রেফতারির পর মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘লোকগুলো বাংলার বাসিন্দা নয়। বাংলায় লুকিয়ে ছিল। দু’ঘণ্টার মধ্যে ধরে দিয়েছি। আমাদের পুলিশ ধরেছে।’