বাংলাহান্ট ডেস্ক : আচ্ছা আপনি কি কখনো শুনেছেন পরিচারিকারও (Maid) পরিচারিকা আছে? নিশ্চয়ই নয়। অবশ্য আমাদের বাংলায় যে টাকা পরিচারিকাকে দেওয়া হয় তাতে বিলাসিতা দেখিয়ে পরিচারিকা (Maid) রাখা তো দূর, ঠিক ভাবে দু সপ্তাহ সংসার চলে না। তবে আমাদের দেশে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে বাড়ির রাঁধুনিরও রয়েছে স্পেশাল রাঁধুনি। মাসগুনে তাকে মোটা অংকের টাকাও দিতে হয় মাইনে হিসেবে। শুনতে অবাক লাগছে নিশ্চয়ই যে এমন ঘটনাও হয় নাকি। হ্যাঁ হয়, আর সেই ঘটনাই ধরা পড়েছে সমাজ মাধ্যমে।
সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল রাঁধুনির (Maid) পোস্ট:
সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেই পোস্ট গোটা সমাজ মাধ্যমে রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, রেডিট নামক একটি অ্যাপে ২৭ বছর বয়সী এক যুবক একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, তার বাড়িতে যে পরিচারিকা (Maid) রান্নাবান্নার কাজ করেন, তার নাকি রান্না করার জন্য আলাদা করে স্পেশাল রাঁধুনি রয়েছে। তবে তিনি শুধু রান্না করার জন্য, একইসাথে বাড়ির সমস্ত কাজ করার জন্য পরিচারিকা রেখেছেন।
আরো পড়ুন : ছোট ছোট ব্লকগুলির আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে একটি ওয়ার্ড, শব্দটি খুঁজে পেলেই আপনি জিনিয়াস
যুবকটি পোস্ট করে গোটা বিষয়ের বিবরণ করেছেন। পোষ্টের মাধ্যমে তিনি জানান, সামনে যেহেতু দীপাবলি তাই বাড়ি পরিষ্কারের জন্য তিনি পরিচারিকা (Maid) দেখছিলেন। তবে কে ভালো হবে না হবে, সেটা তিনি বুঝে পাচ্ছিলেন না। এমন সময় তিনি তার পরিচারিকার সাথে এ নিয়ে কথা বলেন। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন “আমি আমার বাড়িতে যিনি কাজ করেন তাঁকে জিজ্ঞেস করি ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে দিতে পারবে এমন কোনও পরিচারিকা তাঁর নজরে আছেন কি না। তিনি বলেন, আছেন। তবে সেই পরিচারিকা নাকি ঘর পরিষ্কার আর বাসন মাজার জন্য ৩০০০ টাকা নেবেন।”
এরপরই ওই যুবক পরিচারিকাকে (Maid) জিজ্ঞেস করেন, এত টাকা কেন নেবে? এর আগে তার ঘর পরিষ্কারের জন্য যে পরিচারিকা ছিলেন সে তো ২০০০ টাকা নিতো। তাও আবার দু কামরার ঘর পরিষ্কারের জন্য। এখন ৩০০০ কেন? এর উত্তরে পরিচারিকা জানান, “আমার এক কামরার ঘর পরিষ্কার করতেই পরিচারিকা ২০০০ টাকা নেন। আর আমার রাঁধুনির মাইনে ২৫০০ টাকা।” পরিচারিকার এমন বক্তব্য শুনে যুবকটি অবাকই হন।
যদিও পড়ে এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শেষে তিনি বলেন, “হয়তো বেঙ্গালুরু বলেই এই সব সম্ভব।” যুবকের কথায় বিন্দুমাত্র খাদ নেই। অত্যাধুনিক শহর ব্যাঙ্গালুরু শহর! সকলে কর্মসংস্থানের জন্য এই রাজ্যকেই সবার উপরে তালিকায় রাখেন। বলা হয় এখানে নাকি মুঠো ভরে টাকা উপার্জন করা যায়। তাই হয়তো কোথাও গিয়ে এমন মন্তব্য ভুল নয়।