বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহরমপুরে মেসের বাইরে এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। বর্তমানে এই মামলায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে আরও বেশকিছু এমন তথ্য উঠে এসেছে, যা আরও অবাক করে তুলেছে প্রশাসনকে।
সোমবার বহরমপুর গোরাবাজার এলাকায় একটি মেসের বাইরে খুন হয় তৃতীয় বর্ষের কলেজ পড়ুয়া সুতপা চৌধুরী। মেসের বাইরে মেয়েটির ওপর ছুরি দিয়ে বীভৎস হামলা চালায় সুশান্ত নামের এক যুবক। শরীরে একাধিক বার ছুরির আঘাতের ফলে শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় সুতপার। পরবর্তীকালে সুশান্তকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানার পুলিশ এবং বর্তমানে আদালত তাকে 10 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এরপরেই এদিন খুনের ব্যাপারে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা হলে বেশিরভাগ সময় সে হয়তো চুপ করে থেকেছে কিংবা আবার কখনো প্রশ্ন করে বসেছে ‘ও মরেছে তো?’
বিশেষজ্ঞদের মতে, মনে সংশয় থেকেই বারংবার পুলিশের কাছে সুতপার মৃত্যু সম্পর্কে এদিন নিশ্চিত হতে চায় সে। ফলে অনুতাপ তো দূরের কথা বরং সুশান্ত চৌধুরীর এহেন মতিগতি গোটা পুলিশ প্রশাসনকে হতভম্ব করে তুলেছে। বর্তমানে তার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টায় রয়েছে সকলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাণঘাতী হামলার পর সুতপাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু প্রচন্ড রক্ত বেরোনোর কারণে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এর পরেই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয় বহরমপুর পুলিশ। কিন্তু বর্তমানে তার মতিগতি যে স্বাভাবিক নয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে তারা। এদিন প্রায় 6 ঘন্টা ব্যাপী সুশান্তকে জেরা করা হয়।
জেরা চলাকালীন, সুশান্ত কলেজছাত্রীটির ওপর নজরদারির বিষয়টি স্বীকার করে নেয় এবং খুনের প্ল্যানিং নিয়েও বিস্তারিত জানায় পুলিশকে। এছাড়াও সে বলে, “আমার তো সব শেষ। আমি যখন তখন মারা যেতে পারি।” তবে এরপর বেশিরভাগ সময়ে সুশান্ত চুপ থাকে অথবা পুলিশের কাছে উল্টে সুতপার মারা যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়েই বারবার প্রশ্ন করতে থাকে বলে জানা গিয়েছে।