পুজোয় নো মিস! রইল কলকাতার সেরা ফিশ ফ্রাইয়ের ঠিকানা, একবার খেলেই ভুলবেন না কোনও দিন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের মরশুম। আর এই মরশুমে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত স্পেশাল হয়ে ওঠে। এমনিতেই বাঙ্গালিদের সাথে মাছের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। মাছের যেকোনও পদ হলেই দিলখুশ হো গ্যায়া এমন ব্যাপার। মাছের পাতুরি থেকে শুরু করে ঝোল, ঝাল, মুড়িঘন্ট সে যাই হোক না কেন, পাতে পড়লেই থালা চেটেপুটে সাফ। আর উৎসব অনুষ্ঠান হলে তো ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। তখন তো যেনও আরো নতুন নতুন আইটেম চাই। আচ্ছা, এত আইটেমের মধ্যে ফিশ ফ্রাই (Fish Fry) কেমন লাগে? শুনেই জিভে চলে আসে নিশ্চয়ই! বিয়েবাড়ি হোক কিংবা জন্মদিন বাড়ি সবার ফার্স্ট আইটেম হচ্ছে ভেটকির ফিসফ্রাই। আর এমন উৎসবের মরশুমে তো ফিশ ফ্রাই আরোই মিস করা যাবে না। তাই দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে দেখতে ঘুরে আসুন কলকাতায় ফিস ফ্রাইয়ের বেস্ট ৫ টি জায়গায়। এই সব জায়গার ফিশ ফ্রাই না খেলেই মিস করবেন।

কলকাতায় ফিশ ফ্রাইয়ের (Fish Fry) সেরা ৫ ঠিকানা:

১. মিত্র ক্যাফে: সন্ধ্যেতে এক কাপ কফি মানেই ঐতিহ্যবাহী মিত্র ক্যাফে। ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার এই রেস্তরাঁ প্রথম থেকেই ফিশ ফ্রাইয়ের (Fish Fry) জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করে আসছে। এখানকার ফিশ ফ্রাইয়ের টেস্ট আর অন্য কোথাও পাবে না। তবে শুধু ফিশ ফ্রাই নয়, এছাড়াও এখানকার মাটন চপ, মাটন ব্রেন চপ, ফিশ কবিরাজির টানেও বাঙালি বার বার ছুটে আসে।

২. চিত্তদার সুরুচি: এসপ্ল্যানেড যাবেন আর চিত্তদার ফিশ ফ্রাই (Fish Fry) খাবেন না এটা হতে পারে! ডেকার্স লেনের বিখ্যাত চিত্তদার দোকানে একবার পা রাখলে বারবার ফিরে আসতে ইচ্ছে হবে। অনেকের মতে, এখানকার ফিস ফ্রাই নাকি কলকাতা বিখ্যাত। এছাড়াও পকোড়া, কাটলেট, চাউমিন, রেজালার দারুণ স্বাদ। এমনকি ফুড ব্লগারদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা এটি।

Best Fish Fry in Kolkata.

৩. শংকর কেবিন: সাউথে যদি ঠাকুর দেখতে যান, অবশ্যই একবার খেয়ে আসুন শংকর কেবিনের ফিশ ফ্রাই (Fish Fry)। মুখরোচক খাবারের জন্য শংকর কেবিন দক্ষিণ কলকাতায় বিখ্যাত।

আরও পড়ুন: চমকের পর চমক! এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হবেন সূর্যকুমার যাদব? বড় প্রতিক্রিয়া দিলেন SKY

৪. নবমালঞ্চ: পায়ে হেঁটে হাতিবাগানের ঠাকুর দেখতে দেখতেই ঢুকে যান এই রেস্তোরাঁয়। ছোট্ট এই দোকানে সারি সারি ভিড় জমায় খাদ্য রসিকরা। শুধু উত্তর কলকাতা নয়, দক্ষিণ কলকাতা থেকেও শুধুমাত্র ফিশ ফ্রাইয়ের (Fish Fry) লোভে ছুটে আসেন সকলে।

আরও পড়ুন: অবশেষে তিনি ফিরছেন! এবার বিরাট কারনামার পথে হার্দিক, টেক্কা দেবেন বুমরাহকেও

৫. নিরঞ্জন আগর: মার্বল টপ টেবিল এবং কাঠের চেয়ারে সাজানো ছোট্ট একটা দোকান। পুরনো দিনের ছোঁয়া পাবেন এই দোকানের মধ্যে। মাছ-মাংসের পদের তালিকায় জুড়ি মেলা ভার। এখানে ফিশ ফ্রাই (Fish Fry) খেলে মুখে লেগে থাকবে সারাজীবন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর