বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বই আকারে প্রকাশিত হল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বার্ষিক রিপোর্ট (Annual Report)। গত এক বছরে হাই কোর্টের সেরা রায়গুলো জায়গা করে নিল সেখানে। গত বছর থেকেই এই ধরনের বই প্রকাশ করতে শুরু করেছেন হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর ১৫ অগাস্টে এই উচ্চ আদালত তরফে প্রকাশ করা হয়।
হাইকোর্টের সেরার সেরা রায় (Calcutta High Court)
এবার সেরার সেরা রায়ের তালিকায় জায়গা করে নিল সন্দেশখালি এবং এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরু থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। মহিলা নির্যাতন থেকে জমি-ভেরি দখল সহ একাধিক অভিযোগে স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন সন্দেশখালির মহিলারা।
সেই মামলায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। যা জায়গা করে নিল সেরার সেরায়। সন্দেশখালি ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওদিকে সন্দেশখালিতে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা খারিজ করার রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। যা জায়গা করে নিয়েছে সেরার তালিকায়।
অন্যদিকে তালিকায় জায়গা পেল এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। যার জেরে এক ধাক্কায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। সেই রায়ও হল সেরা। পাশাপাশি সেরা রায়ের তালিকায় রয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া সরকারি চাকরিতে রূপান্তরকামীদের এক শতাংশ বাধ্যতামূলক সংরক্ষণের রায়।
আরও পড়ুন: ওই অভিশপ্ত রাতেও ডায়েরি লিখেছেন তিলোত্তমা! কার নাম ছিল তাতে? আর জি কর কাণ্ডে বিরাট মোড়
এছাড়াও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চের পঞ্চায়েত মামলায় দেওয়া রায় সেরার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। মনোনয়নপত্র কারচুপির অভিযোগে আগে এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা গেলে দুই বিচারপতি জানান এই ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না। এই বিষয়ে ইলেকশন পিটিশনে আদালত নির্দেশ দিতে পারে।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে অ্যাসিড আক্রান্ত এক পুরুষ মহিলাদের মতো ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচারপতির নির্দেশ ছিল এক্ষেত্রে কখনই আক্রান্তের লিঙ্গ বিচার করা উচিত নয়। মহিলাদের মতো তিনিও ক্ষতিপূরণের
অধিকারী। সেই রায়ও সেরার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে।