বাংলা হান্ট ডেস্ক: ১৪ ফেব্রুয়ারি, এই দিনটি সমগ্র বিশ্বে ভ্যালেন্টাইন্স ডে (Valentine’s Day) বা ভালোবাসার দিন হিসেবে পালিত হয়। যুবক-যুবতীদের কাছেও এই দিনটি খুব “স্পেশাল”। যদিও, এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে ভারতে প্রতিবছর নানান বিতর্ক পরিলক্ষিত হয়। এমনকি, চলতি বছরেও এই দিনটিকে ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে সর্বত্র। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যালেন্টাইন্স ডে না পালনের জন্যও আবেদন করা হয়।
শুধু তাই নয়, এবার অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড ১৪ ফেব্রুয়ারিকে “কাউ হাগ ডে” হিসেবে পালনের ঘোষণা করলেও তুমুল হট্টগোলের পর তা প্রত্যাহার করা হয়। এদিকে, এই দিনটি এলেই অনেকে আবার দাবি করেন যে, ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ভগৎ সিং (Bhagat Singh)-কে। সেই কারণেই অনেক সংগঠন প্রতি বছর এই দিনটিকে “ব্ল্যাক ডে” হিসেবে পালন করে।
১৪ ফেব্রুয়ারির প্রসঙ্গে করা হচ্ছে এই দাবি: ১৪ ফেব্রুয়ারি আসার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয় যে, এই দিনটি “ব্ল্যাক ডে” হিসেবে পালিত হবে। এই প্রসঙ্গে অনেকেই বিভিন্ন দাবিও জানিয়েছেন। কেউ বলেন যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভগৎ সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আবার কেউ বলেন যে, এই দিনে ভগত সিং, রাজগুরু এবং সুখদেবকে একইসাথে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে, এই দাবি শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং গত কয়েক বছরে অনেক সংগঠন এবং কিছু নেতাও এটির উল্লেখ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতি বছর এই দাবি করা হয়।
প্রকৃত সত্যি কি: মূলত, সোশ্যাল মিডিয়া এবং কিছু সংগঠনের এই দাবিগুলি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। কারণ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভগৎ সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি বা এই দিনে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়নি। বরং, ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ফাঁসি দেওয়া হয়। সব রেকর্ডেই এই তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি, লাহোর কাণ্ডের জন্য ভগৎ সিংকে ১৯৩০ সালের ৭ অক্টোবরে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়।
তবে, ১৪ ফেব্রুয়ারিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কিন্তু ঘটেছিল। ১৯৩১ সালের এই দিনে, পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য ভাইসরয়ের কাছে একটি টেলিগ্রাম করেছিলেন এবং ভগৎ সিংয়ের ফাঁসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর করার আবেদন করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভগৎ সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল বা তাঁর সাজা হয়েছিল এমন দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো।