বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কথাটিকে এক এক জন এক এক রকম ভাবে ব্যাখ্যা করেন। কারোর কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শুধুমাত্র সোনার পাথর বাটি যা থাকলে ভালো হতো, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু অনেকে আবার নিজের কর্মের মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ রাখে। এমনই একটি উদাহরণ ফের দেখা গেল যীশুখ্রিস্টের জন্মদিনের সকালে।
এখনকার দিনে কজন মানুষ গীতার বাণীর সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন? তাই গীতায় বর্ণিত উপদেশ সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন একদল যুবক যার ফলে সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২৫ শে ডিসেম্বর অর্থাৎ আজ সকালে একটি চার্চের সামনে দাঁড়িয়ে গীতা বিতরণ করলেন তাঁরা। শুধু চার্চই নয়, সেই সঙ্গে শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরেও যাতায়াতরত মানুষের হাতেও গীতা তুলে দিলেন সেই যুবকের দল।
যারা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, জানা গেছে তারা কলকাতারই বাসিন্দা। এই বৃহৎ উদ্যোগকে সফল করে তোলার জন্য তারা বেশ কিছু সংখ্যক গীতা কিনে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার সেন্ট জন চার্চের সামনে। সবচেয়ে বড় কথা তাদের এই কাজে একবারও বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেননি চার্চের কেউই। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষের হাতে তারা গীতা তুলে দিয়েছেন। চার্চের নিকটেই অবস্থিত এক দোকানের মালিকের হাতেও গীতা তুলে দিয়েছেন তারা। তাদের বয়ান অনুযায়ী অনেকেই নাকি নিজে ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহ দেখিয়ে গীতা নিয়ে গিয়েছেন।
উদ্যোক্তাদের দাবি যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যেই এই গীতা বিতরণ করা হয়েছিল। ভিন্ন ধর্মালম্বী নানা মানুষও আগ্রহের সাথে তাদের বিতরণ করা এই গীতা গ্রহণ করেছেন। তাদের এই উদ্যোগের সাফল্য দেখে অভিভূত উদ্যোক্তারাই। ভবিষ্যতেও এরকম উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।