বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারত আধ্যাত্মিকতার দেশ। সন্ন্যাসী ও ধর্মগুরুরা অনেক সময়েই এমন কিছু কাণ্ড করে থাকেন, যা থেকে মানুষের মনে হয় তাঁরা বোধ হয় ‘অলৌকিক’ ক্ষমতার অধিকারী। এমনই এক ঘটনা ঘটল ছত্তিশগড়ের রায়পুরে। সেখানে ভাগ্যেশ্বর ধাম মহারাজ (Bhagweshwar Dham Maharaj live demo) পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী করে দেখালেন কিছু ‘অলৌকিক’ কাজ। তাও সকলের সামনেই।
ভাগ্যেশ্বর ধাম মহারাজ ধীরেন্দ কৃষ্ণ শাস্ত্রী রায়পুরে রামকথা বলছিলেন। তাঁর সভায় অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে নানা রকমের প্রশ্নও উঠছিল। সেই প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কুসংস্কার ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে থেকে কিছু ঠিক করার দাবি করেননি। যা হয় সবই গুরুজীর কৃপায়। এসবের মধ্যেই নিজের ‘অলৌকিক’ ক্ষমতার সরাসরি প্রদর্শন করে উপস্থিত জনতাকে তাক লাগিয়ে দিলেন এই ধর্মগুরু।
সেই সময় সেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সকলের সামনেই এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে। পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর লেখা চিরকুট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কয়েকজন বলছিলেন, বাবা যা কিছু লেখেন, তাই ঘটে যায়। রায়পুরে এই জিনিসেরই প্রদর্শন করেছেন তিনি। একজন সাংবাদিককে ডেকে একটি চিরকুটে কিছু লেখেন ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। ওই সাংবাদিককে তিনি জানান, ওই জায়গায় মোট চারটি প্যান্ডেল রয়েছে। সাংবাদিক যে কোনও প্যান্ডেলে গিয়ে যাকে খুশি ডাকতে পারেন।
সাংবাদিক যাকে ডাকবেন, ওই চিরকুটে লেখা তথ্য তার ব্যাপারেই হবে। তবে সেই ব্যক্তি যেন সাংবাদিকের পূর্ব পরিচিত না হয়। ধীরেন্দ্র কৃষ্ণের কথা মতো ভিড়ের মধ্যে থেকে সাংবাদিক এক মহিলাকে ডাকেন। সেই মহিলা ও তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে সাংবাদিক পৌঁছন পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর কাছে। এরপর তিনি সেই চিরকুটটি ওই মহিলাকে দেন। দেখা যায়, সত্যিই ওই চিরকুটে সেই মহিলার ব্যাপারেই লেখা রয়েছে। ওই মহিলা উত্তরপ্রদেশের বিলাসপুরের বাসিন্দা। তিনি বাবার কাছে নিজের সন্তানের অসুস্থতার কারণে এসেছিলেন।
পন্ডিত ধীরেন্দ্র কুমার শাস্ত্রী বলেন, বালাজীর আশীর্বাদে তাঁর সন্তানের ৪০ শতাংশ অসুখ সেরে যাবে। এছাড়াও নিজেদের কূলদেবতাকে পুজো করে যাওয়ার উপদেশ দেন পন্ডিত। এরপর তিনি জিজ্ঞেস করেন, ওই মহিলা আগে তাঁকে তাঁর সমস্যার ব্যাপারে বলেছিলেন কি না। তাতে মহিলা জানান যে তিনি আগে কিছুই বলেননি। এতে ভাগ্যেশ্বর মহারাজ বলেন, আজকের পর থেকে আর কাউকে কোনও কৈফিয়ত দেবেন না তিনি। কেউ তাঁর ‘অলৌকিক’ ক্ষমতাকে কুসংস্কার বললে তাঁকে নগ্ন করে দেবেন। বাবার এই কান্ড বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।