বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে শুরু হয়ে গিয়েছে কালীপুজোও। আর কালীপুজোর পরই আসে আরো বড় উৎসব ভাইফোঁটা (Bhai Phota)। বাঙালিদের ভাইফোঁটা, আর অবাঙালিদের ভাইদুজ। ওই বিষয়টা একই। তবে হিন্দুদের কাছে ভাইফোঁটার (Bhai Phota) এক আলাদাই মাহাত্ম্য রয়েছে। দিদি, বোনেরা এই একটি দিন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই উৎসব পালন করেন। সেইসাথে দাদা বা ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনা এবং যমরাজের কাছে দীর্ঘায়ুর কামনা করেন। মূলত এই দিনটি ভাই ও বোনদের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘ করার একটি মূল উৎসব।
ভাইফোঁটায় (Bhai Phota) ভুলেও করবেন না এই কাজ
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়াতে যম রাজের বোন যমুনা দাদার মঙ্গলের জন্য ভাইফোঁটা (Bhai Phota) দেন। আর সেই থেকেই হিন্দুদের রীতিতে এই উৎসবের প্রচলন শুরু হয়। এই বিশেষ তিথিতেই সমস্ত দিদি-বোনেরা তার দাদা-ভাইদের ভাইফোঁটা দিয়ে থাকেন। আর এবছর ভাইফোঁটা (Bhai Phota) পড়েছে ৩রা নভেম্বর রবিবার। তবে এদিন ভাইফোঁটা (Bhai Phota) দেওয়ার আগে বিশেষ কিছু নিয়মের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিন। ভুলেও ভাইফোঁটা দেওয়ার সময় এই কাজগুলি করবেন না কেউই। দাদা বোন সকলেই এই বিষয় সতর্ক হয়ে যান। না হলে আপনাদের সম্পর্কে ছেদ পড়বে।
কি সেই বিশেষ কাজ গুলি করবেন না দেখে নিন:
১) ভাইফোঁটা দেওয়ার সময় যেমন সময়ের গুরুত্ব দেন তেমনিই দিকেরও গুরুত্ব দিন। শাস্ত্র অনুসারে, ভাইফোঁটা দেওয়ার সময় ভাইয়ের মুখ যেন উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকেই যেনো থাকে। আর বোনেদের মুখ থাকবে পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে। অন্য কোন দিক নির্বাচন করে বসলে তাতে আপনারই ক্ষতি।
২) ভাইফোঁটার দিন প্রত্যেক দিদি বোনেরা চেষ্টা করুন উপোস থাকার। ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার পরই উপোস ভঙ্গ করুন। এর আগে নয়। আর যদি খুব বেশি অসুবিধা হয় তাহলে ছাতু, শরবত খেতে পারেন কিংবা কোন নিরামিষ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তার আগে কোন আমিষ খাবার খাবেন না। শুধু বোনেরা নয় একই সাথে দাদা ভাইরাও উপোস থাকুন।।
৩) পোশাক পরার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিন। ভাইফোঁটার মতো পবিত্র দিনে চেষ্টা করুন হলুদ কিংবা লাল সাদা যে কোন জামা পরার। কিন্তু কালো রংয়ের পোশাক পরার ভুল করতে যাবেন না। মনে রাখবেন কালো রং হচ্ছে অশুভ শক্তির প্রতীক। তাই এই বিশেষ দিনটিকে বিশেষভাবে মাহাত্ম্য দিন।
আরও পড়ুন : এত্ত দেরি! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকছে শীত? দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দপ্তর
৪) এই বিশেষ দিনে ভাই কিংবা দাদারা, ভুলেও মিথ্যে কথা বলতে যাবেন না। বিশেষ করে বোনকে মিথ্যে কথা বলা থেকে এড়িয়ে যান। নচেৎ যমরাজ আপনার উপর মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হতে পারেন।
৫) এমন পবিত্র দিনে চেষ্টা করুন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নেওয়ার। বেলা করে ঘুম থেকে ওঠার ভুল করবেন না।
৬) দাদা, ভাইরা আরেকটা বিশেষ দিকে খেয়াল রাখুন। এদিন কারোর কাছ থেকে ধার করে বোনকে উপহার দেবেন না। ধারের জিনিস সর্বদা আপনাদের সম্পর্ককে তিক্ত তৈরি করে তোলে। প্রয়োজনে উপহার দেওয়ার দরকার নেই ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ দিয়েই বোনকে ভালো রাখুন। কিন্তু অন্যের টাকা দিয়ে উপহার দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
৭) বোন বা দিদি যদি অন্য কোথাও থাকেন, তাহলে এদিন চেষ্টা করুন সেখানে গিয়েই ভাইফোঁটা নেওয়ার। সেইসাথে, বোনের বাড়ি থেকেই অন্নগ্রহন করবেন। আর অন্য কোথাও নয়।
সিনিয়র নেতাদের তুমুল ঝগড়া! মাথা ব্যথাই নেই মমতা-অভিষেকের, নেপথ্যের কারণ জানেন?