বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন আর তার পূর্বে শাসক বনাম বিরোধী দ্বন্দ্বে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দিকে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির মতো দলগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা কর্মীদের। সেই তালিকায় এবার সামিল হলেন ভাঙরের (Bhangar) ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন (Modasser Hossain)।
বিরোধীদের মারধর করার নিদান দেওয়ার পাশাপাশি কিভাবে হামলা চালানো উচিত, সেই বিষয়ে পরামর্শ পর্যন্ত দেন ভাঙরের তৃণমূল নেতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা সরব বিজেপি এবং আইএসএফের মতো দলগুলি।
গত শনিবার ভাঙরের মোল্লাপাড়ায় একটি দলীয় কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এবং পঞ্চায়েত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। বক্তৃতা দিতে উঠে মোদাচ্ছের বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। প্রত্যেকটা বুথে ২০ থেকে ৪০ টা ছেলে তৈরি রাখতে হবে। বাদ বাকি যা হবে, বুঝে নেব। আসলে তোমাদের যখন মারতে বলি, তোমরা মাথা ফাটিয়ে দিয়ে চলে আসো। এটা কিন্তু ভুল। তোমাদের পেছনে মারতে বললে মাথায় মারো। আগে চিন্তা ভাবনা করো, তারপরে মেরো।”
পরবর্তীতে তিনি আরো বলেন, “মাথায় মারলে তা ফেটে রক্ত বেরোবে, তখন কেস হতে পারে। এর থেকে ভালো, পেছনে মারবে। রাত্রিবেলা কোথাও পাঠালে মাথা ফাটিও না। হাঁটুতে মারো আর পেছনে মারো। বাদ বাকি যা হবে, আমি বুঝে নেব।”
তৃণমূল নেতার এহেন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। এই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যবাসীর পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও দুর্ভাগ্য। এই নিয়ে খবর হচ্ছে। আসলে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ‘তুই’, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘হোদল কুতকুত’ এবং অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে যান, সেখানে এই সকল বক্তব্য উঠে আসবেই।
অপরদিকে, ভাঙরের পঞ্চায়েত প্রধানের মন্তব্যের সমালোচনা করার পাশাপাশি আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “এটাই হলো তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি।”