বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ থেকেই দুদিনের ভারত বন্ধ ডেকেছে বামেরা। তার মধ্যেই সকাল থেকেই দেশ জুড়ে সামনে আসছে একের পর এক বিক্ষিপ্ত ক্ষোভ এবং অশান্তির ছবি। বলাই বাহুল্য, এই বনধের প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। বন্ধ বেশ কিছু লাইনের ট্রেন চলাচল। কোথাও চলছে বিক্ষোভ, কোথাও আবার ট্রেন অবরোধ। সকাল থেকেই পথে নেমেছেন বাম কর্মী সমর্থকরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতা করেন ডাক দেওয়া হয়েছে এই ধর্মঘটের। কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরোধিতা করে সপ্তাহের শুরুতেই দুদিন অর্থাৎ সোমবার এবং মঙ্গলবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এবং শিল্পভিত্তিক ফেডারেশনগুলি। ব্যাঙ্কিং আইন ২০২১ এর বিরোধিতা করে বনধকে সমর্থন জানানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনেট তরফেও। তাঁদের দাবি সরকারি ব্যাঙ্ক গুলিকে বেসরকারি করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। আর এর ফলেও আজ এবং কাল দুদিন বিপর্যস্ত হতে পারে গোটা দেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
শুধু ব্যাঙ্কই নয়, এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছিলে কয়লা, স্টিল, তেল, তামা, বীমা, টেলিকম,প্রভৃতি একাধিক দপ্তর। ফলে ব্যাঙ্কের পাশাপাশি এই সমস্ত সেক্টরগুলিতেও ধর্মঘটের বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।$এই ভারত বনধের প্রভাব যে বাংলাতেও পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যজুড়ে উঠে আসছে একাধিক অশান্তি এবং উত্তেজনার খবর। সোমবার সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছেন বনধ সমর্থনকারীরা। এদিন সকাল থেকেই বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে চলে পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভ। অন্যদিকে চুঁচুড়া বাস টার্মিনাসে চলছে অবরোধ। সকাল থেকে একটিও বাস বেরোতে দেওয়া হয়নি সেখান থেকে।
এদিন সকালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় নিউটাউন এলাকাতেও। বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে চলে মিছিল। একই সঙ্গে বনধের সমর্থনে করা হয় পথ অবরোধও। নিউটাউন ঢালাই ব্রিজ এলাকায় পথ অবরোধ করে রাস্তার উপরেই টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। চলতে থাকে বিক্ষোভ। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ এসে আগুন নিভিয়ে তুলে দেয় অবরোধ।
উল্লেখ্য, বনধ রুখতে তৎপর রাজ্যসরকার। নবান্নের তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। এই দুদিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল কলেজ খোলা রাখতেই হবে। খোলা থাকবে সমস্ত সরকারি অফিস। অফিসে আসা বাধ্যতামূলক প্রতিটি কর্মচারীর। বিশেষ কারণ ছাড়া কোনও মতেই ছুটি মিলবে না এই দুদিন। একই সঙ্গে নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এও জানানো হয়েছে যে এই দিন কোনও কর্মচারী অনুপস্থিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার।