বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের নাম পরিবর্তন হয়ে ভারত হবে কিনা তা নিয়ে জলঘোলা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার সেই বিতর্ক পৌঁছে গেল জি-টোয়েন্টি সম্মেলনেও। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেমপ্লেটে দেখা গেল ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপে শনিবার নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধনী ভাষণ দেন।
সেই ভাষণের সময় সবার চোখ গিয়ে পৌঁছায় তাঁর নেমপ্লেটে। সেই নেমপ্লেটে উজ্জ্বল করে লেখা ‘ভারত।’ সরকারিভাবে বলতে গেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে ইন্ডিয়া নয়, প্রতিনিধিত্ব করলেন ভারত দেশের হয়ে। দেশের নাম বদল নিয়ে কিছুদিন ধরে যে বিতর্ক চলছিল, তার মাঝেই নরেন্দ্র মোদি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরোও পড়ুন : এবার বই আকারে প্রকাশ পাচ্ছে বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান! দ্রুত প্রকাশিত হবে ‘দুই মলাটের সাফল্য’
বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভারত’ নামটিকে কার্যত সীলমোহর দিলেন। এই নেমপ্লেটের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি সত্যিই পরিবর্তন হতে চলেছে দেশের নামে? ভারত সরকার কি তাহলে সম্পূর্ণভাবে ইন্ডিয়া নাম ত্যাগ করতে চলেছে?
আরোও পড়ুন : উপাচার্যদের আন্দোলনের প্ল্যাকার্ডে ভুলে ভরা বাংলা বানান! শিক্ষকরা নজর এড়ালো কী করে? উঠছে প্রশ্ন
জি-২০ সম্মেলনে প্রেসিডেন্টের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। এই আমন্ত্রণ পত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ নামটি সবার মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। এরপর নরেন্দ্র মোদিকে ASEAN-এর ২০তম সম্মেলনের নোটিফিকেশনে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারপর জি টোয়েন্টি সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে রাখা নেমপ্লেটে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে দেখা গেল ‘ভারত’ নাম। প্রসঙ্গত, দেশের নাম বিতর্কের সূত্রপাত এই জি-টোয়েন্টি সম্মেলনকে ঘিরেই হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষ থেকে পাঠানো অতিথিদের আমন্ত্রণ পত্রে তিনি নিজেকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ উল্লেখ করেছিলেন।
এরপর এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, দেশের মৌলিক ঘটনাগুলি থেকে জনসাধারণের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই সরকার এই কাজ করছে। তবে এবার জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে ভারত লেখার পর থেকেই রাজনীতির আঙিনায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।