শেষ পর্বে ভারত জোড়ো যাত্রা! শ্রীনগরে পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে এই কর্মসূচী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয় কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। জন সংযোগের বার্তা দিতে একেবারে নিচু স্তরে কর্মীদের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে এবং জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতেই এই যাত্রার কর্মসূচী গ্রহন করে কংগ্রেস। ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম প্রান্ত কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রার শুভারম্ভ করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রায় চারমাস রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অনবরত হেঁটে গিয়েছেন তিনি। এবার শেষ পর্বে পৌঁছে গেছে কংগ্রেসের এই জনসংযোগ যাত্রা। ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর ১৫০ তম দিনে ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হবে কংগ্রেসের এই বিরাট পদযাত্রা।

bharat

যাত্রার শেষ দিনে শ্রীনগরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন রাহুল গান্ধী। এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও জয়রাম রমেশ জানান, ভারত জোড়ো যাত্রা কন্যাকুমারীর গান্ধী মান্ডাপাম থেকে দিল্লির লালকেল্লা পর্যন্ত মোট ৩,১২২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। গত ১০৮ দিনে ৯ টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছে এই যাত্রা। মোট ৪৯ টি জেলা অতিক্রম করেছে ভারত জোড়ো যাত্রা। তামিল নাড়ু, কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা পেরিয়ে তা দিল্লিতে প্রবেশ করে। আজ মঙ্গলবার এই যাত্রার উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করার কথা।

বেণুগোপাল বলেছেন, ‘আগামী ২০ জানুয়ারির সন্ধেবেলা জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করবে এই যাত্রা। ৩০ জানুয়ারি পতাকা উত্তোলন করে এই যাত্রা পরিসমাপ্তি হবে’। তিনি আরও জানান, ‘শুধুমাত্র যেখান দিয়ে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা গিয়েছে সেই ১২ রাজ্য ও ২ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই যাত্রা। রাজ্য স্তরেও বিভিন্ন যাত্রার কথা ঘোষণা হয়েছে। আসন্ন ‘হাত সে হাত জোড়ো অভিযান’ ভারত জোড়ো যাত্রার বার্তা সব ভারতীয়দের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে।

রমেশ আরও বলেন, ‘ভারতের জনগণের কথা শোনার জন্য এটি সত্যিকারের একটি যাত্রা। বিভিন্ন জনসভা, বৈঠকের মাধ্যমে এই যাত্রা সাধারণ জনগণের কথা শুনেছে।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর