বাংলা হান্ট ডেস্ক : শক্তি ক্ষয়ের মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যকে নিজেদের দলে টেনে বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) অযোধ্যা (Ayodhya) গ্রাম পঞ্চায়েতে শক্তি বৃদ্ধি করল বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। বৃহস্পতিবার দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা দফতরে শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে নির্বাচিত ওই নির্দল সদস্যের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা।
এবার ‘প্রাক্তন’ তৃণমৃল কর্মী হিসেবে পরিচিত অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬ নম্বর আসন থেকে জিতে আসা শ্যামলকে নিজেদের দলে টেনে শাসক দলকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করল বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও এত সবের পরেই অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল তৃণমূলের হাতেই থাকছে বলেই জানা গিয়েছে। এই নিয়ে স্থানীয় এলাকায় তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া নির্দল প্রার্থী শ্যামল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনমুখী প্রকল্পগুলিকে দেখে আমি মুগ্ধ। মানুষও মোদীজিতে সমর্থন করে। তৃণমূল নামের অত্যাচারী দলকে বাংলা থেকে উৎখাত করাই আমার লক্ষ্য। আমার উপরও অনেক অত্যাচার হয়েছে। বিজেপিই একমাত্র তৃণমূলকে হারাতে পারবেন। সেই কারণে আমি এই দলে যোগ দিয়েছি।’
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা বলেন, ‘অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী নির্দল প্রার্থী শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির পরিবারে তাঁকে আমি স্বাগত জানাই। আগামী এই জেলা সহ গোটা রাজ্যে তৃণমূলের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব ও আমাদের আন্দোলন আরও জোরাল হবে। বাংলা থেকে তৃণমূলকে সরানোই আমাদের লক্ষ্য।’
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলে, ‘কে কার আদর্শে অনুপ্রাণিত হবে সেটা আমাদের ভাবার বিষয় নয়’। মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে ও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। বিজেপিতে ওঁর যোগদানে কোনও প্রভাব পড়বে না। আগেও মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখেছেন। আগামী দিনেও তাঁর উপর ভর করেই আমরা নির্বাচনে লড়ব ও জিতব।’