বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক টেট (Primary Tet) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা এবং বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলা। গতকাল মধ্যরাতে সল্টলেকের (Saltlake) এপিসি ভবনের সামনে থেকে আন্দোলনকারীদের জোর করে তুলে দেয় প্রশাসন। তার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে একাধিক মহল। সকাল থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস (Congress), বিজেপি (BJP) এবং সিপিএমের (Cpim) মতো বিরোধী দলগুলি। বেলা বাড়তেই হেস্টিংস থেকে ধর্মতলা (Dharmatala) পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul), সজল খোষেদের মতো বিজেপি নেতা নেত্রীরা। অবশেষে পুলিশি বাধার মুখে পড়ার পাশাপাশি লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলা ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক দুর্নীতির চিত্র সামনে আসার পাশাপাশি প্রতিবাদে নেমেছে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। সেই ধারা বজায় রেখে গত সোমবার থেকে সল্টলেকের এপিসি ভবনের নিকট প্রদর্শনে বসেন সকলেই। বিগত তিনদিন ধরে সেই অবস্থান বিক্ষোভসহ আমরণ অনশন চললেও গতকাল রাতে সকল বিক্ষোভকারীদের জোর করে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত গোটা শহর। চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি প্রতিবাদে নেমেছে বিরোধী দলগুলি।
সেই মতোই এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হেস্টিংস থেকে মিছিল করে বের হন অগ্নিমিত্র পলেরা। তৃণমূল সরকার এবং পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করার পাশাপাশি ধর্মতলার দিকে এগোনোর মুহূর্তে ভিক্টোরিয়া হাউসের নিকট তাদের আটকায় পুলিশ এবং পরবর্তীতে প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিন বিজেপির পাশাপাশি প্রতিবাদে নামে বাম ছাত্র যুব সংগঠন এবং কংগ্রেসও। বাম মিছিলে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য একাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে পথে নামে বিজেপি। দলীয় নেতা-নেত্রী ছাড়াও সেই মিছিলে পা মেলান অসংখ্য কর্মী সমর্থকরা। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অগ্নিমিত্রার দাবি, “চাকরি দিন, নয়তো পদত্যাগ করুন। এইভাবে প্রতিবাদীদের আটকে রাখা যায় না।”
একইভাবে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের তরফ থেকেও একটি মিছিল বার করা হয়। ফলে সব মিলিয়ে চাকরি প্রার্থীদের পাশাপাশি বিরোধীদের একের পর এক প্রতিবাদ মিছিলে উত্তপ্ত গোটা বাংলা। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেটাই দেখার।