বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। একের পর এক নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার মাধ্যমে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। এই সকল মামলায় একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীরা হেফাজতে আর এবার সরকারের বিরুদ্ধে ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করার মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগকে বৈধ করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
গতকাল বিজেপির মোট সাতটি মোর্চার রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বিধাননগরে একটি সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তৃতা দিতে উঠে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যে সমস্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে তৎকালীন রাজ্যপাল তা আটকে দেন।”
ঠিক কি বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য মন্ত্রিসভার একটি নোট দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, “গত ৫ ই মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য মন্ত্রিসভায় একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ২৬২ কোটি টাকার অনুমোদন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে যে সকল অবৈধ নিয়োগ হয়েছে, সেগুলি বৈধ করার জন্য অর্থাৎ অবৈধ নিয়োগ গুলি বজায় রাখার মাধ্যমে ওয়েটিং-এ থাকা সকলকে চাকরি দেওয়ার বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সরকারের সেই সিদ্ধান্ত আটকে দিয়েছিলেন।”
শুভেন্দু আরো বলেন, “মোট ৫৮ হাজার নিয়োগের মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে ৫০ হাজার এবং বাকিগুলি নেতা মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠদের দেওয়া হয়েছে।” এ বিষয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।
যদিও বিরোধী দলনেতার এহেন দাবিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “এটা একটা অভিযোগ। সবরকম নথি না দেখে কোনরকম মন্তব্য করবো না। সরকার সবসময় চায়, যাতে সবার চাকরি হয়।” অপরদিকে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, “ও (শুভেন্দু অধিকারী) যে এখনকার বিরোধী নেতা, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই বলে আসছেন যে, সরকার সকলের চাকরি চায়। আসলে শুভেন্দু অধিকারী কি বলেন, তা নিজেই জানেন না।”