বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমাদের সামনে একাধিক সময় বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় ভিডিও উঠে আসে। কখনো তা হাসির হয়, আবার কখনো ভয়ঙ্কর। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিষয়ক বেশ কয়েকটি দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি সেরকমই একটি ভিডিও ক্রমাগত ভাইরাল হয়ে চলেছে নেট মাধ্যমে, যা দেখে হতবাক গোটা দেশবাসী।
কি এমন রয়েছে ভিডিওটিতে? ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতাকে প্রকাশ্যে প্রস্রাব করতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে দলীয় এক জেলা সভাপতির ব্যানারে প্রস্রাব করেন তিনি। এক্ষেত্রে ক্ষোভের কারণেই তাঁর এহেন কর্মকাণ্ড বলে খবর সামনে আসছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই নেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, অভিযুক্তর কাছ হতে ছ বছরের জন্য প্রাথমিক সদস্য পদ কেড়ে নিয়েছে দল।
মধ্যপ্রদেশের মেহগাঁও পঞ্চায়েতের জেলা সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত বিজেপি নেতা শৈলেন্দ্র সিং ভাদুড়িয়া। তবে সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতে সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় দেবেন্দ্র সিং নরওয়ারিয়া নামে এক ব্যক্তিকে এবং এরপরেই শৈলেন্দ্রর ক্ষোভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েতে জেলা সভাপতি হওয়ার পর গত বুধবার জেলা সফরে আসেন দেবেন্দ্র সিং। জেলার একাধিক প্রান্ত ঘুরে দেখেন তিনি। তবে পরমহুর্তেই যে তাঁর বিরুদ্ধে এহেন কর্মকাণ্ড ঘটাতে চলেছেন দলীয় এক নেতাই, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নয়া সভাপতি।
ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে ভাইরাল হওয়া দৃশ্যটি, যেখানে রাতের দিকে টোল প্লাজায় গাড়ি থামিয়ে নামেন শৈলেন্দ্র এবং পরবর্তীতে দেবেন্দ্র সিং-য়ের ব্যানারটি ভেঙে দেন। এখানেই বিতর্ক থেমে থাকে নি! পরবর্তীতে ব্যানারটিকে নিচে ফেলে তার ওপর প্রস্রাব করেন বিতর্কিত ওই বিজেপি নেতা। সম্পূর্ণ ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসার পরই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
এক্ষেত্রে একজন দায়িত্ববান নেতা কিভাবে এমন কর্মকাণ্ড ঘটালেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন চিহ্ন জেগে গিয়েছে। সূত্রের খবর, শৈলেন্দ্র সিং ভাদুড়িয়ার প্রাথমিক সদস্য পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতাকে ছয় বছরের জন্য এহেন কঠোর সাজা দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। পদ্মফুল শিবিরের দাবি, “একজন দায়িত্ববান নেতার ক্ষেত্রে এহেন কর্মকাণ্ড শোভনীয় নয়। তাই তাঁর আচরণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”