“খোকাবাবু চায়, বসতে ক্ষমতায়”, অভিষেককে বিদ্ধ করে প্যারোডি গান বিজেপির, হইচই নেটমাধ্যমে

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালেই রাজ্যে সম্পন্ন হবে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায়, সেই নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই নিজেদের মতো ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। ঠিক এই আবহেই এবার প্রচারের ভঙ্গিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চিরাচরিত পথে না হেঁটে প্যারোডি গানের ওপরে ভরসা করল রাজ্য বিজেপি (Bharatiya Janata Party)।

অভিষেককে বিদ্ধ করে প্যারোডি গান বিজেপির (Bharatiya Janata Party):

ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ রাজ্য বিজেপির (Bharatiya Janata Party) তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্যারোডি গান সামনে আনা হয়। যেখানে তৃণমূল সাংসদ দেবের জনপ্রিয় গান “খোকাবাবু যায় লাল জুতো পায়ে….”-র প্যারোডি হিসেবে “খোকাবাবু চায়, বসতে ক্ষমতায়” গানটি উপস্থাপিত করা হয়। মূলত, শাসক দলকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করেই গানটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক সমালোচিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। শুধু তাই নয়, গানের ভাষাতেই তীব্র নিন্দা করা হয় রাজ্যের বর্তমান সরকারের।

এদিকে, এই গানটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে যে, “SSC-র করিডোর থেকে শুরু করে বাংলার কয়লাখনি পর্যন্ত, সীমান্তে সারিবদ্ধ গরুর গাড়ি থেকে শুরু করে অসহায়দের রক্তাক্ত করে তোলা, লটারি সিন্ডিকেট পর্যন্ত প্রতিটি কেলেঙ্কারির একটি সাধারণ সূত্র রয়েছে: খোকাবাবু, অভিষেক ব্যানার্জি। বাংলার প্রতিটি কেলেঙ্কারিতে ছাপ রয়েছে খোকাবাবুর আঙুলের। তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য নিজের জন্য ক্ষমতা দখল করা-তিনি বাংলায় শাসন করতে এবং লুট করতে চান।”

আরও পড়ুন: রোহিত শর্মার পর এবার টেস্ট থেকে অবসরের পথে কোহলি? সামনে এল বড় আপডেট

পাশাপাশি আরও বলা হয় যে, “একদিকে মমতা। অন্যদিকে ভাইপো; ক্ষমতার লড়াই আসল! কিন্তু কে এর মূল্য দিচ্ছে? এই লোভ ও বিশ্বাসঘাতকতার কাছে কে পিষ্ট হচ্ছে? বাংলার সাধারণ মানুষ। কিন্তু আর নয়! বাংলা যথেষ্ট রক্তপাত করেছে! ২০২৬ সালে, বাংলা জেগে উঠবে এবং পিসি-ভাইপো জুটির ক্ষমতা দখলের অশুভ পরিকল্পনা নস্যাৎ করবে।” এছাড়াও সবশেষে জানানো হয়, “সইবে না আর বাংলা”! মূলত, বিজেপির এই প্যারোডি গানে লুটপাট থেকে শুরু করে তোলাবাজি, নারদা কাণ্ড, কয়লা-গরু পাচার, নিয়োগ দুর্নীতি, কালীঘাটের কাকু সহ একাধিক প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিল ভারত! সাংবাদিক বৈঠকে পড়শি দেশের ঘুম ওড়ালেন বিদেশসচিব

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাজনীতির মঞ্চে প্যারোডি গানকে সামনে রেখে প্রচারের পর্ব বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন নয়। বরং, গতে বাঁধা প্রচার পদ্ধতির তুলনায় প্যারোডি গানের মাধ্যমে প্রচার বেশি আকৃষ্ট করে সাধারণ জনগণকে। এর আগেও “টুম্পা সোনা” থেকে শুরু করে “জামাল কুদু”-র মতো গানগুলির প্যারোডি ভোটের আবহে প্রচারের শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। শুধু তাই নয়, ওই প্যারোডি গানগুলি অল্প সময়ের মধ্যেই তুমুল জনপ্রিয়তাও পায়। এমতাবস্থায়, এবার প্যারোডি গানের মাধ্যমে শাসক দলকে চাপে রাখার কৌশল অবলম্বন করল রাজ্যের বিরোধী দল (Bharatiya Janata Party)।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X