বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) নজিরবিহীন হিংসার সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। মনোনয়নের দিন থেকে বোমাবাজি, গোলাগুলির যে পর্ব শুরু হয়েছে তার রেশ চলছে এখনও। অশান্তির জেরে পুনর্নিবাচন হয়েছে প্রায় ৭০০ বুথে। ফলাফল প্রকাশের দিন দেখা গেল গোটা রাজ্য জুড়েই উড়ছে সবুজ আবির।
তবে এতকিছুর মধ্যেই বিরাট সুখবর বিজেপির জন্য। তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গড় ডায়মন্ড হারবারে প্রথমবারের জন্য ফুটল পদ্ম। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই প্রথম ডায়মন্ড হারবারে সাফল্যের মুখ দেখল বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবেই এই সফল্যে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির।
এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে গেরুয় বাহিনীর সেনাপতিত্ব করেছেন শঙ্কুদেব পান্ডা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গের বুকে নির্বাচনের নামে শুধু হিংসাই চলেছে। তবুও ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ধন্যবাদ। তৃণমূলের সন্ত্রাসকে পাত্তা না দিয়ে তাঁরা স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন। এবং বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারলে কী ফল হতে পারে আজ তা সকলেই বুঝতে পারছেন।’
শঙ্কু আরও বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের এই জয় মানুষের জয়। পিসি-ভাইপোর সিন্ডিকেট শাসনের বিরুদ্ধে মানুষ রায় দিয়েছেন। আগামী দিনে বন্দর এলাকায় এই ফল ধরে রাখবে বিজেপি। ২০২৪-র লোকসভায় ফের হারবে তৃণমূল।’ তবে, গোটা রাজ্যের যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হত তাহলে নির্বাচনের ফল বদলে যেত বলেই দাবি শঙ্কুদেব পান্ডার।
বিজেপির দাবি, ডায়মন্ড হারবারে এই সাফল্য এত সহজে আসেনি। ভোট শুরুর আগেই ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজের সামনে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়েছে। অভিযোগ, বিরোধীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বোমাবাজির ভিডিও শেয়ার করে ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লিখেছিলেন,’গণনার দিনেও ডায়মন্ড হারবার মডেল পুরোদমে চলছে৷ তৃণমূলের গুন্ডারা কাউন্টিং এজেন্ট এবং প্রার্থীদের বাধা দিয়ে নির্বাচন চুরি করার শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে। বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণনা হলে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের ১-২ কিলোমিটার দূর থেকে গণনাকেন্দ্রের দিকে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। কাউন্টিং এজেন্টদের ভয় দেখানোর জন্য বোমা ছোড়া হচ্ছে। তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করা হচ্ছে, এমনকি অপহরণ করা হচ্ছে।’ এরপরই ডায়মন্ড হারবারে এই সাফল্য লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে অক্সিজেন যোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।