বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোনওমতেই অশান্তি কমছে না বিজেপি শিবিরে। একের পর এক নেতা যেভাবে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন, তা দেখে মনে হচ্ছে যে আগামী দিনে বিজেপির এরাজ্যে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কলকাতা পুরসভার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটিতে আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল। আর সেই পরিবর্তনের পরই বিজেপির অন্তর্কলহ স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।
সর্বপ্রথম মতুয়া গড়ের পাঁচ বিধায়ক বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁরা দলের সিদ্ধান্তে খুশি নন। এরপর বাঁকুড়ারও পাঁচ বিধায়ক আচমকাই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। সরাসরি না বললেও, তাঁদের একটাই কোথা সেটা হল তাঁরা নতুন এই কমিটির মধ্যে কিছু জনকে মেনে নিতে পারছেন না। কোথাও জেলা সভাপতি নিয়ে ক্ষোভ, আবার কোথাও পর্যবেক্ষক নিয়ে ক্ষোভ।
আপাতত কদিন এই বিষয় একটু শান্ত থাকলেও এবার বিজেপির আরও এক নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে ফের বিদ্রোহের আগুনে উস্কানি দিলেন। এবার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন যুব নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। তিনি বিজেপির যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন।
একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শঙ্কুদেব। এরপর তাঁকে কলকাতা জোনের দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু একুশের ভরাডুবির পর থেকেই নাকি শঙ্কুবাবু বিজেপির কাছে ডুমুর ফুল হয়ে উঠেছেন। আর এবার তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে আরও জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন।
যদিও, এই নিয়ে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির যুব মোর্চার নতুন সভাপতি ডঃ ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি জানিয়েছেন যে, ‘করোনার কারণে মানুষের সেবা করতেই ব্যস্ত। এখন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কী হচ্ছে সেদিকে নজর দেওয়ার সময় নেই। তবে ওনার গ্রুপ ত্যাগ কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যাও হতে পারে। কিন্তু বিদ্রোহের কথা আমার কানে আসেনি।” অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপত্যাগী শঙ্কুদেব পাণ্ডার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, উনি আবারও যে পুরনো দল তৃণমূলে যোগ দেবেন না, সেটার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।