বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লি বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৫ ই ফেব্রুয়ারিই নির্বাচন হতে চলেছে রাজধানীতে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরেই নতুন করে চর্চায় উঠে এসেছে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) নাম। সেই নূপুর শর্মা, যাঁকে ‘পয়গম্বর বিতর্কে’ বহিষ্কার করা হয়েছিল বিজেপি থেকে। তবে নয়া জল্পনা বলছে, আবারো স্বমহিমায় ফিরতে চলেছেন নূপুর (Nupur Sharma)। শুধু তাই নয়, দিল্লি ভোটে তাঁকেই নাকি প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছে দল।
দিল্লি ভোটে নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) প্রার্থী করার প্ল্যান বিজেপির
ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা পর্যালোচনা। আর এর সঙ্গেই চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে নূপুরের (Nupur Sharma) নাম। তাঁকে প্রার্থী করার বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, জল্পনা এমনটাই। শোনা যাচ্ছে, বিতর্কিত প্রাক্তন মুখপাত্রকেই এই নির্বাচনী ময়দানে অন্যতম ‘বোড়ে’ হিসেবে নামানোর পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি বলেই খবর।
কেন এই বড় সিদ্ধান্ত: কিন্তু তিন বছর আগে যাঁকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশ, যাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, সেই নূপুর শর্মাকেই (Nupur Sharma) আবার কেন ফেরাতে চাইছে গেরুয়া শিবির? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর দেশকে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ বার্তা দিতে চাইছে মোদী সরকার। আর এই যুদ্ধে নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) হতে পারে বড় অস্ত্র।
আরো পড়ুন : আরো কাছাকাছি এভি-কথা, গল্পের গতি বাড়িয়ে মা হবেন নায়িকা! বড় টুইস্ট আসছে সিরিয়ালে
কী বিতর্ক হয়েছিল নূপুরকে নিয়ে: ২০২২ এ একটি নিউজ চ্যানেলে পয়গম্বরকে নিয়ে অবমাননাজনক মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। ওই মন্তব্যের জেরে রাতারাতি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। নূপুরের (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্য দেশের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। বাধ্য হয়ে দল তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
আরো পড়ুন : স্রোত-সার্থকের মাঝে এন্ট্রি শৌর্যর বোনের! TRP তুলতেই বড় টুইস্ট ‘মিঠিঝোরা’য়?
তবে গত বছরই আবারো প্রকাশ্যে আসেন নূপুর শর্মা। গাজিয়াবাদে একটি ভগবত কথা অনুষ্ঠানে নাম না করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তার আগে ‘হিন্দু হিংস্র’ মন্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ।