বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অ্যাথলেটিক্সে মোট ১৫ বার জিতেছেন স্বর্ণপদক। কিন্তু সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হয়েই এখন খেলা ছেড়ে করতে হচ্ছে দিনমজুরের কাজ। মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মাটিয়ালির বাসিন্দা ভাস্কর রায় ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা ভালোবাসতেন। প্রাইমারি স্কুলে যখন পড়তেন তখন থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রাজ্যস্তরের বিভিন্ন স্পোর্টিং ইভেন্টে নাম দিয়ে প্রায় ১৫ টি সোনা রয়েছে জিতেছেন।
বর্তমানে কঠিন বাস্তবের কাছে হার মেনে এই মুহূর্তে সংসার চালাতে খেলাধুলার সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করে দিনমজুরের কাজ করছেন। অভাবের কারণে পড়াশুনাও চালাতে পারেননি বেশিদিন। এমন পরিস্থিতিতে তার অবস্থা এবং প্রতিভার কথা জেনেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি কেউই।
ভাস্কর নিজে বলেছেন যে, বোলবাড়ির নীলকান্ত পাল হাইস্কুলে, পড়ার সময় অনেক রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। রাজ্য স্কুল অ্যাথলেটিক্স মিটে ডিসকাস ও শট পাটে ৮টি সোনা রয়েছে তার। ক্লাব স্টেট অ্যাথলেটিক্স মিটে রয়েছে ৬টি সোনা। অল বেঙ্গল ফেডারেশন কাপ অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের সেরা অ্যাথলিট পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে। তা সত্ত্বেও এখন খেলাধুলার সাথেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হচ্ছে তাকে।
ভাস্করের মা নেই। বাবা ও দাদা বৌদিকে নিয়ে সংসার। বাবা ও দাদার যা উপার্জন তাতে পরিবারের পেট চলে না। তাই বাধ্য হয়ে এই প্রতিভাবান অ্যাথলিটকে নামতে হয়েছে দিনমজুরের কাজে। ভাস্করের আশা, যে তার দুরবস্থার কথা শুনে যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে তার ভেতরের খেলোয়াড়টি হয়তো বেঁচেও যেতে পারেন।