বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি ও এক সপ্তাহ ধরে শুরু হওয়া কার্যত লকডাউনের জেরে চরম সমস্যায় পড়েছে গরীব, অসহায় মানুষগুলো। কার্যত লকডাউনে কাজের জন্য বাড়ির বাইরে বেরোনোর উপায় নেই। দু বেলার খাবার জোটাতে যখন হিমশিম অবস্থা তখনি এই প্রান্তিক মানুষগুলোর সাহায্যে এগিয়ে এলেন অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জি (bhaswar chatterjee)।
নিজের এনজিও অপর্ণা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গরীব মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ভাস্বর। শনিবার নিউ আলিপুর এলাকায় প্রায় বস্তিবাসী ৮০ জন মানুষের জন্য ভরপেট খাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি। নিজে হাতে খাবারও পরিবেশন করেন অভিনেতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করে ভাস্বর লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার এনজিও অপর্ণা ফাউন্ডেশন আজ নিউ আলিপুরে ৮০ জনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে। আমি পুরো সময়টা উপস্থিত ছিলাম। সমস্ত ব্যাপারটা খুব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সকলে মাস্ক পরে লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিয়েছে।’
ভাস্বর আরো বলেন, কিছুদিন আগে তিনি কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে ক্রিকেটার সাইম মুস্তাফার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তিনি তাঁর এনজিও ‘Faith’ এর মাধ্যমে সেখানকার অসহায় মানুষদের সাহায্য করেন। তাঁর কাজ খুবই ভাল লেগেছিল ভাস্বরের। সাইমের এনজিওতে তিনিও কিছু অর্থ সাহায্য করেন। উল্লেখ্য, ভাস্বরের মায়ের নামে তাঁর এই অপর্ণা ফাউন্ডেশন। ২০১৭ তে প্রয়াত হন অভিনেতার মা। তার পরের বছরেই এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন ভাস্বর।
https://www.instagram.com/p/CPLpoEWAYMJ/?utm_medium=copy_link
অতি সম্প্রতি বাঙালি ব্রাহ্মণ হয়ে রোজা রাখার জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ভাস্বর। নিয়ম মেনে পাঁচদিনের রোজা রেখেছিলেন। কলকাতা নিবাসী তাঁর কাশ্মীরি বন্ধু মুসাদ্দিক আহমেদ খানের আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতেই ইদের দাওয়াত খেলেন ভাস্বর।
অভিনেতা জানান, সমস্ত নিয়ম মেনেই ইদের আগে একে অপরকে উপহার দিয়েছেন তাঁরা। ভাস্বরের বন্ধু তাঁকে দিয়েছেন একটি পাঠান স্যুট ও আতর। অপরদিকে অভিনেতা তাঁকে উপহার দিয়েছেন একটি কুর্তা। ইদের দিন মুসাদ্দিকের বাড়ি গিয়ে রাতে ইদের দাওয়াত খেলেন ভাস্বর।
এদিনের মেনু নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘বিরিয়ানি, গোরুর মাংস, ফিরনি, সিমুই তো থাকবেই। আর কী কী বিশেষ পদ থাকবে সেটা গিয়ে জানতে পারব। আমার রোজা রাখার খবর নেটমাধ্যমে শেয়ার করতেই সবাই রে রে করে উঠেছিলেন। বলেছিলেন, এ বার ভাস্বর গোরুর মাংস-ও খাবেন! তাঁদের জানাই, আমি আমার মতো খাওয়াদাওয়া করব। এবং সেখানে গো-মাংস থাকবে না। আরও একটা কাজ করব। আমার বাড়ির দুর্গাপুজোয় মুসাদ্দিককে সপরিবারে নিমন্ত্রণ করে আসব। আজ, ইদের দিনে’।